ব্রয়লার-লেয়ার মুরগী খাদ্যমূল্য ও বাচ্চার দাম বৃদ্ধি, খামারিদের ৮ দফা দাবি

209

পদ্মা সেতুর জাঁকজমক উৎযাপন না করে প্রান্তিক মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

‘বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারীদের দুর্দশা এবং তা থেকে মুক্তির উপায়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করেন বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারী ঐক্য পরিষদ।

পরিষদের সভাপতি মিজান বাশারের সভাপতিত্বে ও শাহিন হাওলাদারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতিক, পরিবেশবিদ দৈনিক নিউ নেশন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন সংগঠনের মহাসচিব কাজী মোস্তফা কামাল, বক্তব্য রাখেন লেখক ও পরিবেশ সাংবাদিক ইরানি বিশ্বাস,খুলনা পোল্ট্রি ফিড ফিসের এস এম সোহরাব, সভাপতি কিশোরগঞ্জ পোল্ট্রি ডিলার শরীফ উদ্দিন, পোল্ট্রি মার্কেট দাউদকান্দি ফিরোজ খান, নরসিংদী পোল্ট্রি সংগঠনের সাধারন সম্পাদক আবু নাসের সবুজ প্রমূখ।

দেশি পোল্ট্রি চাষিদের বাঁচাতে নীতিমালা প্রয়োজন বলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, নীতিমালা না হলে সিন্ডিকেটের পাল্লায় পড়ে শিক্ষিত যুব সমাজকে ধ্বংস হতে দেয়া যাবে না।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৬ বছর। বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৭৩ বছর । আজকে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধির অন্যতম কারণ পুষ্টি । যেটি জোগাড় করেছেন প্রান্তিক চাষিরা, খামারিরা। এখানে বড়দের কোন অবদান নেই।

অনুষ্ঠানের ৮ দফা দাবি জানান, বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারি ঐক্য পরিষদের মহাসচিব কাজী মোস্তাফা কামাল।
কোন হ্যাচারীর মালিক বাণিজ্যিকভাবে রেডি ব্রয়লার মুরগী ও লেয়ার মুরগী পালন করতে পারবে না। তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
খাদ্যের দাম কমাতে হবে। খাদ্য ও বাচ্চার মান প্রানীসম্পদ অধিদপ্তর কতৃক সার্বক্ষনিক মনিটরিং করতে হবে।
খামারিদের বিদু ্যত বিল, শিল্প হারে নিতে হবে।

৪. বিগত ০৭/০৩/২০১০ তারিখে সরকার কতৃক নিধারিত ১ দিনের ব্রয়লার ও লেয়ার বাচ্চার দাম ৩০ ও ৩২ টাকা হারে দিতে হবে।
রানীক্ষেত, গাম্বরো ও বার্ডফ্লু জাতীয় জটিল রোগের টিকা ও ঔষধ বিনামূল্যে খামারিদের দিতে হবে।
৬. সকল খামারিদের একটি সমিতির আওতায় এনে জামানত ছাড়া ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রাকৃতিক দুর্ভোগে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের ভূর্তকি দিতে হবে। অথবা ইন্সুরেন্সের আওতাভুক্ত করে ক্ষতি পূরণ দিতে হবে।
প্রত্যেক উপজেলার প্রধান বা বড় বাজারগুলিতে খামারিদেরকে সমিতি’র অনুকূলে ২/৩ শতক জায়গা উপর মুরগী ও ডিম বিক্রির দোকান নির্মাণ কর দিতে হবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২০জুন ২০২২