ব্রাজিলের বিখ্যাত স্ট্রবেরি পেয়ারা এখন চাষ হচ্ছে বাংলাদেশে

1294

বিভিন্ন জাতের পেয়ারার মধ্যে স্ট্রবেরি পেয়ারা অন্যতম। মুলত এই জাতের পেয়ারার আদি নিবাস ব্রাজিলে। এই পেয়ারা দেখতে দেশি পেয়ার মতই। তবে আকারে অনেক ছোট। আর রংটি খুবই আকর্ষনীয়। স্ট্রবেরি মত লাল, হলুদ ও পার্পেল কালারের এই স্ট্রবেরি পেয়ারার গাছ ২ থেকে ৬ মিটার পর্ন্ত বড় হয়। এই পেয়ারা প্রচুর পরিমানে ধরে। এই পেয়ার খুবই সুসাদু। স্ট্রবেরি পেয়ারার চাষ পদ্ধতি খুবরই সহজ। এই পেয়াারা পুষ্টিগুন সাধারণ পেয়ার মতই। এই পেয়ারার উপকারিতাও অনেক। বাড়ির আঙিনায় কিংবাদ ছাদ বাগান করতে পারেন।

স্ট্রবেরি পেয়ারা বর্তমানে বাংলাদেশে চাষ হচ্ছে। ব্রাজিলের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে এই পেয়ারার জন্ম এবং হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে এর চাষ অনেক বেশি হয়। এই পেয়ারা দেখতে দেশি পেয়ার মতোই। তবে আকারে অনেক ছোট। এই পেয়ারার রং খুবই আকর্ষনীয়। স্ট্রবেরির মতো লাল, হলুদ ও পার্পেল কালারের হয়ে থাকে। এই পেয়ারা প্রচুর পরিমাণে ধরে। এটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমনি সুস্বাদু।

দেশি ফলের মধ্যে আমলকির পরে পেয়ারাতেই সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি বিদ্যমান। স্ট্রবেরি পেয়ারার চাষ পদ্ধতি খুব সহজ। এই পেয়ারা ছাদ বাগানের জন্য উপযোগী। স্ট্রবেরি পেয়ারার গাছ ২-৬ মিটার পর্যন্ত বড় হয়ে থাকে।

টব বা ড্রামে স্ট্রবেরি পেয়ারার চাষ পদ্ধতিঃ স্ট্রবেরি পেয়ারা চাষ করার জন্য প্রথমে সঠিকভাবে মাটি তৈরি করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে বেলে দো-আঁশ মাটি সর্বোত্তম। প্রথমে ২ ভাগ বেলে দোআঁশ মাটির সাথে ১ ভাগ গোবর, ৪০-৫০ গ্রাম টিএসপি সার এবং ৪০-৫০ গ্রাম পটাশ সার দিয়ে ড্রাম বা টবে ভরে ১০-১২ দিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। অতঃপর মাটি কিছুটা খুচিয়ে দিয়ে আবার ৪-৫ দিন এভাবেই রেখে দিতে হবে । যখন মাটি ঝুরঝুরে হবে তখন একটি সবল সুস্থ চারা সেই টবে/ ড্রামে রোপণ করতে হবে।

বংশবিস্তারঃ বীজ বা কলমের মাধ্যমে স্ট্রবেরি পেয়ারার বংশবৃদ্ধি করা যায়। বীজ থেকে গজানো চারা ব্যবহার করলে ফলের গুণগতমান কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণুতে আক্রান্ত হয়। ঢলে পড়া বা উইল্টিং রোগ পেয়ারা চাষের জন্য একটি অন্তরায়। তাই জোড় কলমের মাধ্যমে উইল্টিং প্রতিরোধী গাছ তৈরি করে স্ট্রবেরি পেয়ারার সফল উৎপাদন করা সম্ভব। স্ট্রবেরি পেয়ারা গাছে পর্যাপ্ত সূর্যালোক প্রয়োজন।

পেয়ারা গাছের কুশিভাঙাঃ সাধারণত বৈশাখ মাসে পেয়ারার চারা লাগানো হয়। এরপর ৮-৯ মাস বয়সের গাছে ফল আসে। অতিরিক্ত বৃদ্ধি কমানো এবং ডাল সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য কুশি ভেঙে দেওয়া হয়। কুশি ভাঙার ২০-২৫ দিনের মধ্যেই নতুন অতিরিক্ত কয়েকটি কুশি আসে। আর যত বেশি কুশি আসবে তত বেশি ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিবে।

সার প্রয়োগঃ গাছের সঠিক বৃদ্ধি ও কাঙ্ক্ষিত ফলাফলের জন্য গাছের বাড়ন্ত অবস্থায় ও ফুল ধরার সময় সঠিক মাত্রায় সার ব্যবহার করতে হবে।

চারা প্রাপ্তিস্থানঃ বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন নার্সারিতে স্ট্রবেরি পেয়ারার চারা ৪৫০-৫৫০/- মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।

তথ্যসূত্রঃ এগ্রিকালচার লারনিং

ফার্মসএন্ডফার্মার/১০অক্টোবর২০