ব্যাণিজিকভাবে আমেরিকার বিখ্যাত ব্রাহমা জাতে মুরগি পালন করে সফলতা পেয়েছেন নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার কাশেম মিয়া। শখের বসে প্রথমে শুরু করলেও বর্তমানে আয়ের প্রধান উৎস এ মুরগির খামার। বিগত ৫ বছরে এই খামার থেকে ২০ লাখ টাকার মুরগি বিক্রি করেছেন তিনি।
জানা যায়, ২০১৭ সালে সখের বসে প্রবাসী এক বন্ধুর সহায়তায় ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা দিয়ে রোমানীয়া থেকে ৫ জোড়া ব্রাহমা জাতের মুরগি কিনে আনেন তিনি। তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তার। বর্তমানে ২ জোড়া মুরগি বিক্রি করছেন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায়।
কাশেম মিয়া বলেন, প্রথম টার্কি মুরগি পালন করতাম। হঠাৎ করে ইউটিউবে এ জাতের মুরগি দেখে সখ জাগে এটি পালনের। প্রথম প্রথম ভাবতাম বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এই মুরগি পালন করা সম্ভব হবে না। পরে দেখি সাধারণ মুরগির মতোই এগুলো পালন করা যায়। বর্তমানে খামারে সাদা ও সোনালী রঙের ৫০ জোড়া ব্রাহমা জাতের মুরগি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৬ মাসেই এ জাতের মুরগির পরিপূর্ণ ওজনের হয়ে উঠে। এই মুরগির মাংস ও ডিমের চাহিদা অনেক। ১ জোড়া মুরগি আকার ভেদে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকায়ও বিক্রি করা হয়। এছাড়া ১ হালি ডিম বিক্রি হয় ২৪০০ টাকায়।
পলাশ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো শফিকুল আলম বলেন, আমেরিকার বিখ্যাত ব্রাহমা জাতের মুরগি বাংলাদেশের আবহাওয়ায় পালন করা সম্ভব। সাধারণ মুরগির মতোই এটি পালন করা যায়। খামারি কাশেম মিয়াকে উন্নত জাতের এই মুরগি বাণিজ্যিকভাবে পালনে সহযোগিতা করা হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৩জুন ২০২২