ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন জাতের পাট উৎপাদনের মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশ

348

20.07.19

উচ্চ ফলনশীল তোষা পাটের জাত, বিজেআরআই তোষা পাট-৮(রবি-১) এর বিভিন্ন এগ্রোইকোলজিক্যাল জোনে অ্যাডাপটিভ গবেষণা প্রদর্শনীর ওপর ভবনাথপুর বারিয়ারচর ব্লকে উপসহকারী কৃষি অফিসার নূর হোসেনের পরামর্শে কৃষকের জমিতে পাটের উৎপাদন পদ্ধতির মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

২০ জুলাই শনিবার কুমিল্লার চান্দিনার বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কেন্দ্রের আয়োজনে ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এ মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

অর্থকরী ফসলের মধ্যে পাট গুরুত্বপূর্ণ ফসল। কৃষি বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, পাট পরিবেশবান্ধব ফসল। পাটের পাতা জমিতে মাটির সাথে যুক্ত হয়ে কিছুদিন পর পচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে পরবর্তী ফসলের জন্য উৎকৃষ্টমানের সার তৈরি করে। পাটের আঁশ এবং পাটখড়ি উভয়ই বিক্রয়যোগ্য হওয়ায় যে কোন ফসলের তুলনায় এ ফসল চাষে কৃষক ভাই আর্থিক লাভ বেশি করতে পারেন। কৃষকের সার্বিক সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য মাঠ পর্যায়ে উচ্চ ফলনশীল তোষা পাটের জাত, বিজেআরআই তোষা পাট-৮, দেশের সকল কৃষক যেন চাষে আগ্রহী হয়। এ কার্যক্রমকে বাস্তবায়ন করাই মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশের উদ্দেশ্য।

মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন-কৃষিবিদ ড. আবদুল মুঈদ, পরিচালক (সরেজমিন উইং) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, ‘যে দেশে বীজ বপন করলেই গাছ হয় আবার ডাল ফেলে রাখলেই বৃক্ষ হয় সে দেশের মানুষ কেন না খেয়ে থাকবে।’ সে স্রোতধারায় আজ কৃষি বিভাগ, কৃষি বিজ্ঞানীরা কৃষিবান্ধব সরকারের টেকসই পরিকল্পনায় আধুনি জ্ঞান-বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সব ফসলের উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাইতো বাংলাদেশ আজ খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ। পাটের শিকড় মাটির গভীরে গিয়ে খাদ্য গ্রহণ করে উপরে তোলে বিধায় পাটের জমির মাটিও আস্তে আস্তে উর্বর হয়।

তিনি আরো বলেন, পাট আমাদের সোনালি আঁশ। এ ফসলকে আমরা শতভাগ আধুনিক প্রক্রিয়ায় চাষ নিশ্চিত করে বিপুল সংখ্যক পণ্য উৎপাদন করতে পারবো। সে সাথে আমাদের দেশের জনবল বিদেশে যাওয়ার ঝুঁকি না নিয়ে দেশেই মা-বাবার কাছে থেকে নিজকে সমৃদ্ধ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং গবেষণা ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন- কৃষিবিদ ড. মো. মুজিবুর রহমান, পরিচালক, বিজেআরআই, ঢাকা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- কৃষিবিদ শ্রীনিবাস দেবনাথ, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা অঞ্চল; কৃষিবিদ মো. আবু নাছের, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া; কৃষিবিদ কাজী হাবীবুর রহমান, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নারায়নগঞ্জ; কৃষিবিদ মো. গোলাম মোস্তফা, উপজেলা কৃষি অফিসার, বাঞ্ছারামপুর।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- কৃষিবিদ এস এম শাহরিয়ার পারভেজ, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিজেআরআই, চান্দিনা, কুমিল্লা।

সংবাদ লেখক: মো. মহসিন মিজি, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাম কৃষি তথ্য সার্ভিস, কুমিল্লা।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/ মোমিন