ফল পুষ্টিকর ও বলবর্ধক। ফল সরাসরি খাওয়া যায় বিধায় যে কোন খাবারের চেয়ে মানব শরীরে ফলের উপকারিতাও বেশি।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, ফলের মধ্যে বিশেষ করে রঙিন ফলে এন্টিঅ্যাক্সিডেন্ট থাকার কারণে যে কোনো রোগ এমনকি ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাছাড়া অল্প পরিমাণ জমিতে ফলের চাষ করে অধিক মুনাফা অর্জন করা যায়।
আধুনিক পদ্ধতিতে ফলের চাষ করে একজন মানুষের প্রতিদিনের চাহিদা ১১৫ গ্রাম পূরণ করে আর্থিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।
কুমিল্লা অঞ্চলে ফলের চাহিদা মিটানোর লক্ষ্যে এবং ফলের পুষ্টি সম্পর্কে অবহিত করার জন্য আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা এর বাস্তবায়নে, আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, কুমিল্লাকে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে উন্নীতকরণ প্রকল্প এর অর্থায়নে, ০১ আগস্ট তারিখে নবীনগর নাছিরাবাদ শ্যামগ্রামে ফল উৎপাদনের আধুনিক কলাকৌশল শীর্ষক মাঠ দিবস ও কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণ শেষে কৃষক কৃষাণীদের হাতে বারি উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রকারের ফলের চারা তুলে দেয়া হয়।
প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড. মো. ওবায়দুল্লাহ কায়ছার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, কুমিল্লা।
সভাপতিত্ব করেন-কৃষিবিদ মো. আবু তাহের, উপজেলা কৃষি অফিসার, নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন- ড. মো. মনিরুজ্জামান, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা,বারি, বগুড়া; কৃষিবিদ মো, আসিফ ইকবাল, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য কর্মকর্তা, কৃষি তথ্য সার্ভিস, কুমিল্লা অঞ্চল।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- কৃষিবিদ মো. আইয়ুব হোসেন খান।
সংবাদ লেখক: মো. মহসিন মিজি, উপসহকারী কৃষি অফিসার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, কুমিল্লা।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/ মোমিন