ব্রুডিং এর শুরুতে মুরগির বাচ্চা মারা যাওয়া রোধে করণীয় কি সে বিষয়ে অনেকরই তেমন কোন ধারণা নেই। সঠিক নিয়ম না মানা ও যত্নের অবহেলার কারণে মুরগির বাচ্চা ব্রুডিং এর সময় মারা যায়। তবে এর কারণ খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বাচ্চা মারা যাওয়া রোধ করা যায়। আজকে আমরা জানবো ব্রুডিং এর শুরুতে মুরগির বাচ্চা মারা যাওয়া রোধে করণীয় সম্পর্কে-
ব্রুডিং এর শুরুতে মুরগির বাচ্চা মারা যাওয়া রোধে করণীয়ঃ
মুরগির বাচ্চার ব্রুডিং করার অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই বাচ্চা মারা যেতে দেখা যায়। এই সমস্যা সমাধানে করণীয় নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-
১। মুরগির বাচ্চা ব্রুডিং করার সময় একসাথে অনেকগুলো বাচ্চা ব্রুডিং করলে বা বাচ্চার ঘনত্ব বেশী হয়ে গেলে বাচ্চা মারা যেতে পারে। এজন্য অধিক ঘনত্বে বাচ্চা ব্রুডিং করানো যাবে না। শীতের সময় ব্রুডার প্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ টা বাচ্চা দিয়ে ব্রুডিং করতে হবে। আর যত কম বাচ্চা দিয়ে ব্রুডিং করানো যায় তত ভালো।
২। বাচ্চার ব্রুডিং করার পর পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানির পাত্র না দেয়া হলে বাচ্চা পরিমান অনুযায়ী খাদ্য ও পানি গ্রহন করতে পারে না। ফলে এনার্জি লস ও ডিহাইড্রেশনের কারনে বাচ্চা মারা যেতে পারে। এই সমস্যা সমাধানে ৫০ টা বাচ্চার জন্য ১ টা ট্রে ফিডার ও ১ টা পানির পাত্র দিতে হবে।
৩। মুরগির বাচ্চার ব্রুডিং করার সময় সঠিক তাপমাত্রা না দেয়া হলে শুরুতেই বাচ্চা মারা যেতে পারে। এজন্য বাচ্চা প্রতি ২ ওয়াট করে তাপের ব্যবস্থা রাখতে হবে। অর্থাৎ ৩০০ বাচ্চার জন্য ৬০০ ওয়াট তাপের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৪। বাচ্চা ব্রুডিং করার সময় লিটারের পুরুত্ব কম হলে ফ্লোর থেকে ঠান্ডা লেগে বাচ্চার শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। তাপমাত্রা খুব বেশি কমে গেলে বাচ্চা মারাও যেতে পারে। এই সমস্যা সমাধানে ফ্লোর থেকে যেন ঠান্ডা না লাগে সেজন্য লিটারের পুরুত্ব ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি করে দিতে হবে।
৫। মুরগির বাচ্চার ব্রুডার পর্দা দিয়ে ঢেকে না দিলে তাপ ব্রুডার থেকে বেরিয়ে গিয়ে তাপের অপচয় ঘটায় এবং ঠান্ডা বাতাস ব্রুডারের ভিতর প্রবেশ করার সুযোগ সৃষ্টি করে। এর ফলেও মুরগির বাচ্চার মৃত্যু হতে পারে। এজন্য ব্রুডারের চারপাশ ও উপরে কাপড় কিংবা অন্যকিছু দিয়ে ঢেকে তাপ সংরক্ষন করতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু অংশ ফাঁকা রেখে অ্যামোনিয়া ও কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস বের হয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০৭মে ২০২২