ব্রুডিং অবস্থায় বাচ্চার মৃত্যুর কারণ ও প্রতিকারে করণীয়

297

ব্রুডিং অবস্থায় বাচ্চার মৃত্যুর অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এ সময়ে বাচ্চার মৃত্যু রোধে খামারিদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মুরগি পালনে ব্রুডিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আজকের এ লেখায় আমরা জেনে নিব ব্রুডিং অবস্থায় বাচ্চার মৃত্যুর কারণ ও প্রতিকারে করণীয় সম্পর্কে-

ব্রুডিং অবস্থায় বাচ্চার মৃত্যুর কারণ ও প্রতিকারে করণীয়ঃ
সাধারণত অবহাওয়াগত কারণ ও খামারিদের নিজস্ব কিছু অসর্তকতার কারণে ব্রুডিং পিরিয়ডে অনেক সংখ্যক বাচ্চা মারা যেতে পারে। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

বাচ্চার মৃত্যুর কারণঃ

১। ব্রুডারে পরিমাণের চেয়ে বেশি বাচ্চা দিয়ে ব্রুডিং করানোর ফলে অধিক ঘনত্বের কারনে সব বাচ্চা ঠিকমত পানি পান করতে পারে না। ফলে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয় এবং বাচ্চা মারা যেতে পারে।

২। প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক পানির পাত্র প্রদান করলে বাচ্চাগুলো ঠিক মত পানি পান করতে পারে না। এর ফলে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। যা বাচ্চার মৃত্যুর অন্যতম কারণ।

৩। শীতকালে পানির তাপমাত্রা কমার কারণে বা পানি অনেক অধিক ঠান্ডা হওয়ার কারণে বাচ্চা মুরগি পানি কম খায়। এজন্য বাচ্চার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

প্রতিকারঃ

১। বাচ্চার ব্রুডিং এর সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির পাত্র দিতে হবে। ১০০ বাচ্চার জন্য ২ টি ছোট পানির পাত্র দিতে হবে ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত।

২। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি বাচ্চাকে দেয়া যাবে না। ঠান্ডা পানি দিলে বাচ্চা পানি খাবে না ফলে ডিহাইড্রেশন দেখা দিবে। এক্ষেত্রে হালকা কুসুম গরম পানি দেয়া যেতে পারে। তাছাড়া মটর বেশ কিছু সময় চালিয়ে ঠান্ডা পানি ফেলে দিয়ে যখন গরম পানি বের হবে সেটা দেয়া যেতে পারে।

৩। পানি গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য পানিতে গুড় (১৫-২০গ্রাম/লিটার) বা চিনি-পাউডার দুধের মিশ্রন (প্রতিটি ২০গ্রাম/লিটার) দেয়া যেতে পারে।

৪। ব্রুডিং এর জায়গার পরিমাণ অনুযায়ী অল্প সংখ্যক বাচ্চা দিয়ে ব্রডিং করতে হবে। অধিক ঘনত্ব পরিহার করতে হবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২২মার্চ২০২১