খাবার পাত্র:১-৭ দিন ১০০টির জন্য ১ টি
পানির পাত্র ১০০টির জন্য ১ টি
প্রথম ১ দিন পেপারে খাবার দিতে হবে যাতে খাবার চিনতে পারে।
৭-১৫ দিন পর্যন্ত ৩০ টির জন্য ১ টি খাবার পাত্র এবং ৪০টার জন্য ১ টি পানির পাত্র.
১৫-৩৫ দিন পর্যন্ত ২০-২৫ টার জন্য ১ টি খাবার পাত্র এবং ৩০ টার জন্য ১ টি পানির পাত্র.
খাবার এবং পানির পাত্র কিছু কম বেশি হতে পারে তবে বেশি দেয়াই ভাল বিশেষ করে বাচ্চা অবস্থায়.
ব্রুডিং:
ব্রয়লারের বাচ্চা ২য় সপ্তাহে ২ গ্রাম এবং ৩য় সপ্তাহে ৩ গ্রাম করে প্রতি ঘন্টায় বৃদ্ধি পায়,তাছাড়া প্রতি ঘন্টায় ১ এমএল করে পানি খায়.
পানি যদি ১-৩৫ দিনে ৪০% কম খায় তাহলে ওজন ৪০০ গ্রাম কম হবে.
১ম সপ্তাহে ওজন ১৮০ গ্রাম হলে ৩০ দিনে ১০ গুন মানে ওজন ১৮০০ গ্রাম হবার সম্বাবনা থাকে।
ব্রুডিং এর জন্য আলাদা ঘর রাখা উচিত কারণ ব্রুডিং এর ঘরের ধরণ আলাদা হয় যেমন সাইড ওয়ালের উচ্চতা বেশি,পরদা নিচ থেকে উপর পর্যন্ত ঢেকে দেয়া হয়,তাছাড়া এক সাথে দুটি ব্যাচ পালা যায়.(এক্টাতে বাচ্চার ব্রুডিং আরেকটায় বড় মুরগি)
বাচ্চা আসার আগে ঘরের তাপমাত্রা ৯৫’ ফারেনহাইট বা ৩৩’ সেন্টিগ্রেট করতে যা করার তাই করতে হবে.( কাঠের গুড়ি,স্টোভ, বালব,হারিকেন,কয়লা, হিটার,গ্যাস ব্রুডার,ইনফ্রারেড বাল্ব)
ব্রুডিং এর তাপমাত্রা
১ ম সপ্তাহে ৯৫’ ফারেনহাইট
২ য় সপ্তাহে ৯০
৩ য় সপ্তাহে ৮৫
৪ থ সপ্তাহে ৮০
৫ ম থেকে শেষ পর্যন্ত ৭৫ ‘ ফারেনহাইট
আপেক্ষিক আর্দ্রতা হবে ৫০-৬০%
লিটার এবং রোগ
শীতের সময় লিটার ৩ ইঞ্চি এবং গরমেদ্রতা১ ইঞ্চি করে দিলে ভাল হয় কারণ লিটার পাতলা হলে বাচ্চার শরীরের তাপ বের হয়ে লিটারে চলে যায়. লিটার ভিজা হলে মিক্সার বা নতুন করে দিতে হবে. লিটার ভাল মানে মুরগি ভাল.
লিটার ভিজা হলে আমাশয় হয়, আমাশয় হলে গামবোরু এবং রানিক্ষত হবার সম্বাবনা থাকে.
লিটার বেশি শুকনা হলে স্প্রে করে দিতে হবে কারণ ধূলা বালি নাকে গিয়ে মুরগির ঠান্ডা লাগে,বিশেষ করে বাচ্চার ব্রুডার নিউমোনিয়া হবার সম্বাবনা থাকে.
খাবার এবং পানির পাত্র ও রোগ
খাবার পাত্র দিতে হবে পিঠ বরাবর আর পানির পাত্র দিতে হবে চোখ বরাবর তাহলে মুরগি সহজে খেতে পারবে এবং পানি ও খাবারে ময়লা পড়বে কম ফলে পানি বাহিত রোগ কমে হবে, পেঠ ভাল থাকবে. পাতলা পায়খানা হবেনা ওজন ভাল হবে.তাছাড়া দাডিয়ে খাওয়ার কারণে পায়ের ব্যায়াম হবে এবং প্যারলাইসিস কম হবে.
লিটার যদি খাবার এবং পানিতে পড়ে তাহলে আমাশয় হয় যা সব রোগকে দাওয়াত করে নিয়ে আসে.
প্রতিদিন পানির পাত্র পরিস্কার করতে হবে এবং সপ্তাহে ১ বার খাবার পাত্র পরিস্কার করতে পারলে ভাল.
মুরগির অধিকাংশ রোগ পানির মাধ্যমে আসে.
পর্দা এবং রোগ:
পর্দার নিচের অংশ ফিক্স থাকবে এবং উপর হতে নিচে নামানো হবে,অথবা উপরে চটের অংশ এবং নিচে কাপড়ের অংশ থাকা উচিত যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী উঠানো নামানো যায়.
শীতের সময় দরজা এবং পর্দার উপরের অংশ ঢেকে দেয়া উচিত.
পর্দা উপরে ফিক্স থাকলে সঠিকভাবে উঠানো নামানো যায়না ফলে ভিতরে গ্যাস হয়,গ্যাস হলে ধকল পড়ে এবং শ্বাসনালির ক্ষতি করে ফলোইকোপ্লাজমা,ব্রংকাইটিস এবং রানিক্ষেত হতে পারে.
খাবার এবং পানি:
খাবার হিসেবে প্রিস্টাটার বা স্টাটার ১-১৫দিন
স্টাটার বা গ্রোয়ার ১৫-২৫দিন
ফিনিশার ২৫-৩৫ দিন দেয়া হয়. অনেকে শুধু প্রিস্টাটার বা স্টাটার এবং গ্রোয়ার খাওয়ায়,ফিনিশার খুব কম খাওয়ায়.
১ম ২ দিন ৪ ঘন্টা পর পর খাবার দেয়া উচিত এবং খাবার যাতে সব সময় থাকে তানাহলে মুরগি ছোট বড় হয়ে যাবে.
৩-১০ দিন দিনে ৪ বার খাবার দিতে হবে এবং ১১ দিন থেকে দিনে ৩ বার খাবার।
গরমের দিন ঠান্ডা সময় মানে সকালে এবং বিকালে খাবার দিতে হবে.
পানি এবং রোগ:
পানিতে প্রতিদিন সেফোয়াট বা অন্য কোন ক্লোরিন ব্যবহার করা উচিত,এতে পেঠ ভাল থাকবে, পানির মাধ্যমেই অধিকাংশ (২২ টি)রোগ আসে এবং ওজন কম আসে.
কতদিনে কত ওজন:
২৬-৩২ দিনে ১৪০০-২০০০ গ্রাম পর্যন্ত হয় আর খাবার খাবে ১০০০ মুরগিতে ৪০-৬০ ব্যাগ.ওজন অনেকটা বাচ্চার মান,ব্যবস্থাপনা,খাবার,সেডে,পরিবেশের উপর নির্ভর করে.
বাচ্চা, রেডি মুরগি খাবারের দাম
বাচ্চার রেট ২০-৮০ টাকা, রেট উঠানামা করে,
রেডি মুরগির দাম ও উঠানামা করে ৯০-১৪০ টাকা তাই লাভ টা ও উঠানামা করে.
খাবারের দাম বাকিতে ২২০০-২১০০ টাকা, নগদে ২১০০-১৯০০ টাকা
রোগব্যাধি :
প্রধান রোগ হল
আমাশয়
,গাম্বোরু
আই বি এইচ
রানিক্ষেত.
মাইকোপ্লাজমা,
ব্রংকাইটিস,
নেক্রোটিক এন্টারাইটিস,
ব্রুডার নিউমোনিয়া
রিও ভাইরাস ,
এডেনো ভাইরাস।
টিকা:
১-৫ দিন আই বি + এন ডি
৮-১২ দিন গামবোরু
১৫-১৯ দিন গামবোরু
২৩-২৪দিন এন ডি(যারা ৩৫দিন বা বেশি পালন করে তারা দিতে পারেন)
মেডিসিন:
আমাশয় বেশি হয় তাই
১৩-১৫দিনে
২৩-২৫ দিনে
মোট দুই বার আমাশয়ের ডোজ করা উচিত.
ব্রুডিং এর সময় প্রথম দিন প্রবায়োটিক, সি এবং গ্লোকোজ বা স্যালাইন দেয়া যায় ,পরের দিন থেকে লাগলে এন্টিবায়োটক দেয়া যায়.
প্রবায়োটিক লিটারের উপর স্প্রে করে দেয়া যায়.
প্রতি সপ্তাহ ২ দিন করে প্রবায়োটিক দিলে ভাল হয় এতে পায়খানা ভাল থাকবে.
ফার্মসএন্ডফার্মার/০৮সেপ্টেম্বর২০