লেয়ার মুরগির খামারের ব্যবহার হওয়া জিনিসপত্র যেমন- ডিমের ট্রে,খাদ্যের পাত্র, পানির পাত্র, ইত্যাদি জীবানুনাশক দিয়ে ধুয়ে তারপর সেগুলো খামারের অভ্যন্তরে প্রবেশ করাতে হবে। মুরগির ব্যাচ পরিবর্তন হলে পুনরায় ব্যবহারের জন্য জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। লেয়ার খামারের ভেতরে কোন বহিরাগত ব্যক্তি বা প্রাণি যাতে করে প্রবেশ করতে পারবে না সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।
আর যদি কাউকে খামারের ভেতরে প্রবেশ করাতে হয় তাহলে তাকে আলাদা পোশাক পরিধান করিয়ে নিয়ে জীবাণুমুক্ত করে তারপর প্রবেশ করাতে হবে। স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। যাতে খামারের ভেতরে কোনভাবেই জীবাণু প্রবেশ করতে না পারে। লেয়ার খামারের জন্য ভালো মানের বাচ্চা সংগ্রহ করে খামারে তুলতে হবে। খামারে ভালো বাচ্চা নিয়ে আসলে সেগুলোর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল থাকে ও সহজে রোগে আক্রান্ত হয় না।
লেয়ার খামারের জন্য উৎকৃষ্ট মানের খাদ্য বাছাই করে খাওয়াতে হবে। এতে একদিকে খামারের মুরগি যেমন সুস্থ থাকবে তেমনি খামারের উৎপাদনও বেড়ে যাবে। লেয়ার খামারে কিছুদিন পর পর মুরগিগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। কোন সমস্যা থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
খামারকে মহামারীসহ নানা জটিল রোগ থেকে রক্ষার জন্য সময়মতো ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে। খামারের কোন মুরগি মারা গেলে গর্ত করে ২ মিটার মাটির নিচে পুতে রাখতে হবে।
শীতকালে পরিবেশের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, তাই বাণিজ্যিকভাবে গড়ে ওঠা খামারের আশপাশে ১০০ গজের মধ্যে প্রতিদিন জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে। মুক্ত পরিবেশে ছেড়ে পালন করা মুরগি যাতে খামারের সংস্পর্শে না আসে এটা খেয়াল রাখতে হবে। এবং ওই সব মুরগি নিয়মিত টিকা প্রদানের ব্যবস্খা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ ওই সব মুরগি থেকেই এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে।