ব্রয়লার মুরগীর খামারে যেসব উপকার পেতে নিমপাতা ব্যবহার করবেন

94

২৫০/৩৫০ গ্রাম নিমপাতা ১ লিটার ফুটন্ত গরম পানিতে চুলার মধ্যে ছেড়ে দিন।এরপর পাত্রটিতে ঢাকনি দিয়ে ১৫/২০ মিনিট হালকা আঁচে উত্তাপ দিতে থাকুন।পানির রং হালকা সবুজাভ বাদামী হলে পাত্রটি চুলা হতে নামিয়ে নিন।ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়ে পাত্রটিকে ঠাণ্ডা হতে দিন।ঠাণ্ডা হবার পর সেই পানি একটি প্লাষ্টিকের বোতলে সংরক্ষণ করুন।
ব্যবহার বিধিঃ৪০ গ্রাম (২ গ্রাম ১ লিটার হিসেবে)নিমের রসের সাথে গুঁড় বা চিনি(৩০ গ্রাম প্রতি লিটার হিসেবে ২০ লিটারে ৬০০ গ্রাম) ২০ লিটার সাদা পানির সাথে মিশ্রণ করে ব্রয়লারকে খেতে দিন।

উপকারিকাঃ
১/নিমের দ্রবণ কৃমি ও জীবাণুনাশক।টানা তিনদিন এই দ্রবণ ব্যবহার করুন সকালবেলা।এই দ্রবণ দেয়ার পূর্বে ৩০ মিনিট আগে পানি বের করে নিবেন।তাতে মুরগী দ্রুত পান করবে।
২/ব্রয়লারের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
৩/লিভারটনিক হিসেবে কাজ করে।
৪/যেকোন ধরনের ইনফেকশন প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিবে।
৫/নিমপাতার রস ছত্রাকরোধক,ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া রোধক।
৬/নিমপাতার রসের দ্রবণ পেটের জন্য অনেক উপকারী বিধায় ব্রয়লারের পায়খানা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করে।সবুজ বা ভিন্ন রংয়ের পায়খানা হলে এই দ্রবণ ব্যবহার করা উচিত।
এছাড়া ৪ গ্রাম ১ লিটার পানিতে একই দ্রবণ মিশ্রণ করে তুষের উপর ছিটিয়ে দিতে পারেন হালকা করে।এতে মশা ও মাছি এবং অন্যান্য জীবানু তুষে বংশবিস্তার করতে পারবে না।
নিমকে প্রাকৃতিক এন্টিসেপটিক বলা হয়।

সতর্কীকরণঃ
★স্প্রে করতে পারবেন তবে তুষ যেন অতিরিক্ত না ভিজে।স্প্রে শুধু গরমকালেই করা উত্তম।
★নিমের মিশ্রন ১০ দিনের পরে ব্যবহার করাই ভালো।
★ভ্যাক্সিনেশন করার দিন এই দ্রবণ খাওয়ানো বা বাতাসে স্প্রে করা যাবে না।