গেল তিন বছর ধরে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মেহেরপুরের গমখেত। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। ক্ষতি পোষাতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গমের বিকল্প হিসেবে কৃষকদের ভুট্টা চাষে আগ্রহী করে তুলছে কৃষি বিভাগ। রোগ বালাই কম থাকায় ভালো ফলনের পাশাপাশি লাভবানও হচ্ছেন তারা। দেশের বড় বড় কোম্পানিগুলো জেলায় ক্রয় সেন্টার খুলে বসেছেন। এতে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হচ্ছে কৃষকদের।
মেহেরপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. আক্তারুজ্জামান জানান, জেলায় এবার ১০ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। যা থেকে এক লাখ ৮ হাজার ৬৫৬ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভুট্টা চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। মানুষের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনেরও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এলিট, ইস্পাহানি, পাইওনিয়ার, সুপার সাইন, সিপিসহ বিভিন্ন জাতের ভুট্টা চাষ করছেন কৃষকরা। রোগ বালাই কম হওয়ায় ভালো ফলনও পাচ্ছেন তারা। চাহিদা থাকায় ব্যবসায়ীরা জমি থেকেই কিনে নিচ্ছেন ভুট্টা।
শহরের ভুট্টাচাষি রায়হানুল হক রকি জানান, তিনি তিন বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছেন। বিঘা প্রতি জমিতে ৫০ থেকে ৫৫ মণ ভুট্টা উৎপাদন হচ্ছে। যার বাজার মূল্য ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। আর উৎপাদন করতে খরচ হচ্ছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও জমি থেকে কিনে নিচ্ছেন ভুট্টা।
ভুট্টা ক্রয় সেন্টারের ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসাইন পলাশ জানান, অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় মেহেরপুরে বাড়ছে ভুট্টার চাষ। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার জেলায় ভুট্টার বাম্পার ফলনও হয়েছে। কিন্তু এ বছর কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ভুট্টা ক্রয় করার কারণে কৃষকরা বেশি লাভবান হচ্ছেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএস