নির্দিষ্ট একটি সময় বার্ড ফ্লু (এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা) দেখা দিতে পারে। এটি ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগ। এর জীবাণু বার্ড ফ্লু আক্রান্ত হাঁস-মুরগি বা অন্যান্য পাখির মল, রক্ত ও শ্বাসনালীতে বাস করে। মানুষ ঘটনাচক্রে এ রোগে আক্রান্ত হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সংক্রমণই ঘটেছে তাদের যারা আক্রান্ত পাখি জবাই বা পালক ছাড়ানোর জন্য নাড়াচাড়া করেছে। আবার যেসব শিশু আক্রান্ত পাখি বা মৃত হাঁস-মুরগি নিয়ে খেলা করে তাদেরও এ রোগ হতে পারে। এ রোগটি সাধারণত শুরু হয় জ্বর-সর্দি-কাশির মাধ্যমে এবং পরে তা মারাত্মক নিউমোনিয়ার রূপ ধারণ করে, যার পরিণতি হচ্ছে মৃত্যু। এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি আরো যেসব তথ্য পাবেন সেগুলো হল: বার্ড ফ্লু প্রতিরোধ এবং অন্যান্য সব তথ্য।
বার্ড ফ্লু প্রতিরোধে কিছু পরামর্শ
এ সময় বার্ড ফ্লু (এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা) দেখা দিতে পারে। এটি ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগ। এর জীবাণু বার্ড ফ্লু আক্রান্ত হাঁস-মুরগি বা অন্যান্য পাখির মল, রক্ত ও শ্বাসনালীতে বাস করে। মানুষ ঘটনাচক্রে এ রোগে আক্রান্ত হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সংক্রমণই ঘটেছে তাদের যারা আক্রান্ত পাখি জবাই বা পালক ছাড়ানোর জন্য নাড়াচাড়া করেছে। আবার যেসব শিশু আক্রান্ত পাখি বা মৃত হাঁস-মুরগি নিয়ে খেলা করে তাদেরও এ রোগ হতে পারে। এ রোগটি সাধারণত শুরু হয় জ্বর-সর্দি-কাশির মাধ্যমে এবং পরে তা মারাত্মক নিউমোনিয়ার রূপ ধারণ করে, যার পরিণতি হচ্ছে মৃত্যু।
১. খালি হাতে অসুস্থ বা অস্বাভাবিকভাবে মৃত হাঁস-মুরগি বা অন্যান্য পাখি ধরাছোঁয়া ও নাড়াচাড়া করা যাবে না।
২. বাড়িতে রোগে আক্রান্ত হাঁস-মুরগি জবাই করা বা পালক ছাড়ানো অথবা নাড়াচাড়া করা যাবে না।
৩. রোগে আক্রান্ত হাঁস-মুরগি বা অন্যান্য পাখি ধরাছোঁয়া ও সেগুলো নিয়ে খেলাধুলা করা থেকে শিশুদের বিরত রাখতে হবে।
৪. হাঁস-মুরগি বা পশুপাখি ধরাছোঁয়ার পর ভালো করে সাবান বা ছাই এবং পানি দিয়ে দুই হাত পরিষ্কার করে ধুতে হবে।
৫. হাঁস-মুরগি বা পশুপাখি দেখাশোনা করার সময় কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে নিতে হবে। পশুপাখি নাড়াচাড়ার পর সে হাত না ধুয়ে চোখ, নাক বা মুখে লাগানো যাবে না।
৬. হাঁস-মুরগির মাংস ভালোভাবে রান্না করতে হবে। আধা সেদ্ধ মাংস, ডিম বা মাংসের তৈরি খাবার খাওয়া যাবে না।
৭. বার্ড ফ্লু রোগ ছড়িয়ে পড়েছে এমন স্থানে বা তার আশপাশে যারা বসবাস করে, তাদের জীবন্ত হাঁস-মুরগি ও অন্যান্য পাখি ক্রয়-বিক্রয় বা জবাই করার স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৮. রোগে আক্রান্ত হাঁস-মুরগি বা অন্যান্য পাখির মল সার অথবা মাছের খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে না।
৯. যদি কোথাও হঠাত্ হাঁস-মুরগি বা অন্যান্য পাখি অস্বাভাবিক হারে মারা যায়, তবে সঙ্গে সঙ্গে ওয়ার্ড কমিশনার অথবা উপজেলা পশুসম্পদ দফতরে জানাতে হবে। মৃত হাঁস-মুরগি এবং পাখি মাটিতে পুঁতে ফেলার সময় অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
১০. হাঁস-মুরগি বা অন্যান্য পাখি ধরাছোঁয়ার পর যদি কেউ জ্বর-সর্দি-কাশি জাতীয় কোনো রোগে ভোগেন তবে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে কাছাকাছি স্বাস্থ্যকেন্দ্র/হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য যেতে হবে। রোগে আক্রান্ত বা মৃত হাঁস-মুরগির সংস্পর্শে আসার বিষয়টিও তাদের জানাতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ০২ জানুয়ারি ২০২২