ভারতের পর মিয়ানমার থেকেও পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ

82

ভারতের পর সরকার মিয়ানমার থেকেও পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক টাস্কফোর্সের সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজ এবং চিনি আমদানির জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছি, নীতিগতভাবে ভারত সরকার পেঁয়াজের বিষয়ে সম্মতিও দিয়েছে। এখন ভারতের পক্ষ থেকে আমরা অফিশিয়ালি কাগজ পেলে, পেঁয়াজ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাতে পারে সে পদক্ষেপ আমরা নেব। মিয়ানমার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমরা যেন বর্ডার থেকে নদীপথে আনতে পারি সে ধরনের একটি এমওইউ ড্রাফট আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে সে দেশের সরকার। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি, উনি ব্যাপারটিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয় বছরে দুইবার পেঁয়াজ উৎপাদনের যে উদ্যোগ নিচ্ছে, আমরা আশা করছি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চালের মতো এটাতেও আমাদের আমদানিনির্ভর হতে হবে না।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণ আমরা শুরু করেছি। এই রমজানে দুইবার এটা দেয়া হবে। সেখানে চাল থাকবে ৫ কেজি, তেল, ডাল, চিনি, খেজুর এবং ছোলা থাকবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘আজ আমরা শুধু ভোজ্যতেলের বিষয়ে কথা বলেছি এবং দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা আশা করি, বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাকি যে পণ্যগুলো আছে সেগুলোর দাম যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে।’

তিনি বলেন, ‘পাম অয়েল আমাদের বোতল আকারে আসে না। একটা বিষয় জানিয়ে রাখা দরকার এই প্রথম আন্তর্জাতিক বাজারে পাম আয়েলের দাম সয়াবিনের থেকে বেশি। সুতরাং এটা যদি আমরা এখন পুনর্নির্ধারণ করতে যাই সেটা ভোক্তাদের জন্য খারাপ হয়ে যাবে।’