দীর্ঘদিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর ভারতের বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম, পাইকারী বাজারে গেল সপ্তাহে মসলা জাতীয় পণ্যটি বিক্রি হয়েছে ৪১ রুপি করে। এছাড়া নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে পুরোদমে আসা শুরু করলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দাম আরো ৫০ শতাংশ কমে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এরফলে ভারতে পেঁয়াজ কেজি প্রতি দাম দাঁড়াতে পারে ২০ রুপির মতো। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন এলাকা মহারাষ্ট্র, গুজরাট ও কর্ণাটক থেকে নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ সরবরাহ বাড়বে। এছাড়া বাজারে বাড়তি চাহিদা ও দামের কারণে এবার আগেভাগেই এসব এলাকার কৃষকরা পেঁয়াজ উঠাতে শুরু করেছে। এসব পেঁয়াজের সরবরাহের ফলে গত রোববার থেকে দেশটির বাজারে পেঁয়াজের দাম ৪২ শতাংশ কমেছে। এশিয়ার মধ্যে পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার লাসালগাঁও মান্ডি বেঞ্চমার্কে সর্বশেষ মঙ্গলবার প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪১ রুপিতে। যা এর দুদিন আগেও বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৭১ রুপিতে।
এদিকে নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ আসায় লাসালগাঁও মান্ডিতে পণ্যটির সরবরাহ দ্রুত বাড়ছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার পাইকারি এ বাজারটিতে ৭০৪ টন পেঁয়াজ আসে। যেখানে এর দুদিন আগে এসেছিল ৪২১ টন। তবে এসব পেঁয়াজের মধ্যে অধিকাংশ আসছে রেড অনিয়ন। এ জাতের পেঁয়াজে আদ্রতা বেশি থাকায় তিন দিনের বেশি এটি মজুদ রাখা যায় না। ব্যবসায়ীরা রোদে শুকিয়ে দুদিনের মধ্যে এসব পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি করে দেন।
লাসালগাঁওয়ের এগ্রিকালচার প্রোডাক্ট মার্কেট কমিটির (এপিএমসি) চেয়ারম্যান সুভর্ণ জাগতপ মনে করেন, জানুয়ারির মধ্যে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ২০ রুপি থেকে ২৫ রুপির মধ্যে চলে আসবে। এছাড়া আগামী দু,সপ্তাহের মধ্যে দাম কমে কেজিপ্রতি ৩০-৩৫ রুপির মধ্যে চলে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ভারতে বছরে ২ কোটি ৩৫ লাখ টনের মতো পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এরমধ্যে পঁচন, চোরাচালানসহ দেশটির অভ্যন্তরীণ ব্যবহার হয় ১ কোটি ৭০ লাখ থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ টনের মতো। আর দেশটি থেকে প্রতিবছর রফতানি হয় প্রায় ৩০ লাখ টনের মতো পেঁয়াজ।