ভারতে পোলট্রি, মৎস্য ও ক্যাটল ফিড তৈরির অন্যতম উপাদান সয়াবিন মিল রপ্তানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ফিআব)। সয়াবিন মিল বিদেশে রপ্তানী করলে দেশের প্রায় অর্ধেক খামার ব্যবসায়ি ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হবে। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেছে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. আহসানুজ্জামান। এতে আরো বক্তব্য রাকেন ফিড ইন্ডাষ্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ –এর সভাপতি এহতেশাম বি. শাহজাহান, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) ও সভাপতি, ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) –এর সভাপতি মসিউর রহমান, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) –এর সহ-সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ, ফিড ইন্ডাষ্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ –সদস্য সাইফুল আলম খান এবং আবু লুৎফে ফজলে রহিম খান।
এসময় ফিআবের সাধারণ সম্পাদক আহসানুজ্জামান বলেন, সয়াবিন মিলের চরম সংকট থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সম্প্রতি ভারতে সয়াবিন রপ্তানি শুরু করছে। ফলে দেশীয় ফিড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হবার আশঙ্কা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয় রফতানি বন্ধের পরামর্শ দিলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের পোল্ট্রিখাতের স্বার্থ উপেক্ষা করেই ভারতে সয়াবিন মিল রফতানি অব্যাহত রেখেছে।
সংগঠনটির ট্রেজারার শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, ইতোমধ্যেই দেশের বাজারে ডিম ও মুরগির দাম বাড়তে শুরু করেছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যে তা বেশিরভাগ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে। এছাড়া, অনেক বিদেশি কোম্পানি এরইমধ্যে বড় বিনিয়োগ নিয়ে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে। দেশীয় ফিড মিলগুলো কোনোভাবে বিপদে পড়লেই তারা তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। তখন আর বাংলাদেশি কোম্পানি বাজারে থাকতে পারবে না। তাই তিনি এই ব্যাপারগুলো আমলে নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান
এ সময়, ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশ ব্রাঞ্চের প্রেসিডেন্ট ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার বলেন, ভারতে সয়াবিন মিল রফতানি না করে ভ্যালু অ্যাডেড ফিডই রপ্তানি করতে পারত বাংলাদেশ।
ফিআবের সভাপতি এহতেশাম বি শাহজাহান বলেন, দেশে প্রায় ৩৫০টি ফিড মিলের মধ্যে ইতোমধ্যেই করোনা ধাক্কাসহ নানামুখী লোকসানের কারণে ৫০টি বন্ধ হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকতে শিগগিরই একটা বড় অংশ বন্ধের কবলে পড়বে। এছাড়া, কোন উপায় থাকবে না।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১