ভার্মিকম্পোষ্ট বা কেঁচো সার কি?

1105

%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%8b%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%ac%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%81%e0%a6%9a%e0%a7%8b

গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার গোবর নির্দিষ্ট জাতের কেঁচো দ্বারা খাইয়ে কেঁচোর মল আকারে যে সার পাওয়া যায় তাকে ভার্মিকম্পোষ্ট বা কেঁচো সার বলে।

ভার্মিকম্পোষ্ট বা কেঁচো সার এর বৈশিষ্ট্য:

১। এটি একটি সম্পূর্ণ সার, খুবই কার্যকর ও উন্নতমানের এবং পরিবেশবান্ধব জৈব সার যা মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনন্য ভূমিকা রাখে। এর মধ্যে গাছের অত্যাবশ্যকীয় ১৭টি খাদ্য উৎপাদনের ১০-১২টি উপাদান বিদ্যমান।

২। পুষ্টি উপাদান ছাড়াও এর মধ্যে গাছের অত্যাবশ্যকীয় বেশ কয়েকটি হরমোন ও এনজাইম থাকে যা গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও গুণগত মান উন্নয়নে সহায়তা করে।

৩। কেঁচো সার ব্যবহার করলে মাটির ভৌত, জৈব ও রাসায়নিক গুণ উন্নত হয় ও সেচের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।

৪। কেঁচো সার বীজের অংকুরোদগম সহায়ক ও বীজ ভাল গজায়।

৫। কেঁচো সার পরিবেশ বান্ধব। ইহা ব্যবহারের ফলে মাটির স্বাস্থ্য পূনরুদ্ধার হয়, গাছের শিকড় বেশী দূর ছড়াতে পারে।

৬। কৃষক নিজেই নিজের প্রয়োজনীয় সার উৎপাদন করতে পারে। যার জন্য ফসলের আবাদ খরচও কমে আসে এবং সার আমদানির জন্য আন্য দেশের মুখাপেক্ষী হতে হবে না। সুতরাং রাসায়নিক সার আমদানী বাবদ বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হয়।

৭। কেঁচো সার দ্বারা উৎপন্ন ফসলের স্বাদ ও মান রাসায়নিক সার দ্বারা উৎপন্ন ফসলের চেয়ে বেশি হওয়ায় ফসলের দাম ভাল পাওয়া যায় এবং সারা পৃথিবীতে এ সার দ্বারা উৎপাদিত ফসলের ব্যপক চাহিদা রয়েছে।

৮। কেঁচো সার সব ধরনের ফুল, ফল ও ফসলে ব্যবহার করা যায়।