ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

360

ভূট্রা

স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে ও লাভজনক ফসল ভুট্টা চাষে সিরাজদিখানে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে। অন্য ফসলের চেয়ে কম খরচে অধিক পরিমাণে ফসলের উৎপাদন, বাজারে ভুট্টার ব্যাপক চাহিদা, রোগ পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম, অনুকূল আবহাওয়া ও সারা বছরই ভুট্টার চাষ হওয়ায় প্রতিবছরই ভুট্টা চাষের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সূত্রে জানা যায়, এ বছর ১৮৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে কৃষকদের সার বীজ ও কৃষি পুনর্বাসনসহ পরামর্শ সহায়তা দিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস।

মানুষের খাদ্যের পাশাপাশি মাছ, হাঁস-মুরগি ও গো-খাদ্য হিসেবে ভুট্টার ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এর চাহিদাও বেড়েছে অনেক বেশি। ভুট্টার সবকিছুই কাজে লাগে। ভুট্টা গাছের পাতা সুসম গো-খাদ্য এবং কাণ্ড জ্বালানি হিসেবে ব্যবহূত হয়। ভুট্টা চাষ লাভজনক এবং এর উৎপাদনশীলতাও বেশি।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার কোলা, ইছাপুরা, রশুনিয়া, তাজপুর, কুসুমপর, আবির পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল এনকে (৪০), কনক, সুপার সাইন, আলবিসহ বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের ভুট্টা আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেছে। এ বছর ১৮৫০ হেক্টর জমিতে ১১ হাজার ১০০ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, কৃষি অফিষ সূত্রে জানা গেছে।

এ বছর ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ধান ও অন্যান্য ফসলের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় কম খরচে বেশি লাভের আশায় বিকল্প ফসল হিসেবে ভুট্টা চাষে ঝুঁকছে এ উপজেলার কৃষকরা।

কৃষি অফিসার সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, চলতি বছরে উপজেলায় ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিটি এলাকায় মাঠপর্যায়ে ঘুরে কৃষকদের ভুট্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। মাঠ জরিপ অনুযায়ী এ বছর উপজেলার প্রত্যেকটি এলাকায় ব্যাপক হারে ভুট্টার চাষ হয়েছে।

এ বছর টার্গেট ছিল ২২শ হেক্টর মতো এখানে ১৮৫০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯০% অর্জন হয়েছে । কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা আছে।

ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ