ভোলাহাটে (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) কীটনাশক ডিলারদের মতবিনিময় সভা

500

[su_slider source=”media: 4006,4005″ title=”no” pages=”no”] [/su_slider]

তুষার কুমার সাহা, ভোলাহাট প্রতিনিধি: উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে ভেজাল কীটনাশক বিক্রয় ও কীটনাশক সম্পর্কীত নীতিমালার ওপর কীটনাশক ডিলাদের সাথে দিনব্যাপি এক মতবিনিময় সভা গত ০৯ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জস্থ ভোলাহাট’র উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ মিলনায়নে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ। মতবিনিময় সভায় উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, ফসল উৎপাদনের প্রধান অন্তরায় হচ্ছে ফসলের বালাই। বালাই প্রতিরোধে শুধু কীটনাশক বা ছত্রাকনাশক ব্যবহার করলে হবে না। এর পাশাপাশি নতুন নতুন প্রযুক্তি যেমন: আইপিএম, আইসিএম পদ্ধতি, ভেষজ কীটনাশক এসব ব্যবহার করে রোগ-পোকামুক্ত সুস্থ-সবল নিরোগ ফসল ঘরে তোলা সম্ভব। কাজেই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে ডিলারদের ধারণা থাকতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, কৃষকেরা সমস্যা নিয়ে কীটনাশকের দোকানে গেলে অসাধু কিছু ডিলার কেবলি বিক্রির স্বার্থে বুঝে নাবুঝে কৃষকদের হাতে মেয়াদ উত্তীর্ণ বা অনুপযুক্ত ওষুধ ধরিয়ে দিয়েই ফায়দা নেয়। আসলে এটা ঠিক নয়। এতেকরে অনেক কৃষক ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে থাকেন। আমরা জানি, পোকায় আক্রান্ত হলে দিতে হবে কীটনাশক। আর তা না দিয়ে কোনো কোনো দোকানদার ছত্রাকনাশক দিয়ে দেয়। আবার রোগে আক্রান্ত হলে কীটনাশক না দিয়ে ছত্রাকনাশক দেয়। এ কাজ করা যাবে না। এসব বিষয়ে ডিলারদের সঠিক ধারণা থাকা প্রয়োজন। বুঝতে না পারলে তাৎক্ষণিক কৃষি বিশেষজ্ঞ কিংবা উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিতে হবে। কৃষক যাতে প্রতারিত না হয় এবং ফসল উৎপাদন ব্যাহত না হয় সেদিকে লক্ষ রেখে কৃষি কর্মির প্রেসক্রাইভ পত্র মোতাবেক সঠিক কীটনাশক কিংবা ছত্রাকনাশক নীতিমালা অনুসরণ করে বিক্রয়ের ব্যবস্থা নিতে তিনি ডিলারদের অনুরোধ জানান। অসাধু উপায় অবলম্বনে ভ্রাম্যমান মোবাইল কোট, লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ বিক্রয়, পজিশন মাফিক দোকান স্থাপন, ওষুধ রাখার সরঞ্জামাদি এসব বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মোছা. সাবিহা সুলতানা। সভায় ভেজাল কীটনাশক বিক্রয় রোধে ডিলারদের ভূমিকা, ডিলারদের দোকানে কীটনাশকের সঠিক মূল্য তালিকা সংযোজন, কাঁচের আলমিরা বা শো-কেইচ ব্যবহারসহ কীটনাশক বিপণনের জন্য ১৯৭১, ১৯৮৫ ও ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের বালাইনাশক নীতিমালা অনুসরণ এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে ভোলাহাটের ৩৫ জন খুচরা ও পাইকারি কীটনাশক ডিলার অংশগ্রহণ করেন।