ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) ব্রাহ্মণনগর আইএফএমসি কৃষক স্কুলের মাঠদিবস

378

তুষার কুমার সাহা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা কম্পোনেন্ট প্রকল্পের আওতায় বোরো মৌসুমের এক মাঠদিবস ১০ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটস্থ ফতেপুর ব্লকের ব্রাহ্মণনগর আইএফএমসি কৃষক মাঠ স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোছা. সাবিয়া সুলতানা। এতে সভাপতিত্ব করেন জামবাড়িয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের সদস্য মোসা. তাজকেরা বেগম।

প্রধান অতিথি বলেন, কৃষিই হচ্ছে কৃষ্টি। কৃষিকে যে যত বেশি চর্চা করবে সে ততই বেশি সুফল ভোগ করবে। কাজেই কৃষক মাঠ স্কুলে ৪৫টি সেশনে ফসল উৎপাদনের জন্য যে কারিগরি পদ্ধতিগুলো হাতে-কলমে শেখানো হয়েছে সেগুলোকে যদি মাঠ ফসলে সঠিকভাবে যত বেশি ব্যবহার করা যাবে, সেখান থেকে অবশ্যই অনেকাংশে সুস্থ-সবল ও নিরোগ ফসল পাওয়া যাবে। তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কৃষিকাজে সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য অনুরোধ জানান।

বিশেষ অতিথি প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “কৃষক মাঠ স্কুলে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ, রোগ ও পোকা-মাকড় দমন এবং অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা বিষয়ে শুধু প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে তা নয়, এর পাশাপাশি সুস্থ সুন্দর ও সাবলীল জীবন-যাপনের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ, পুষ্টিমাণ বজায় রেখে রান্না ও পরিবেশন, স্বাস্থসম্মত স্যানিটেশন, উন্নত চুলার ব্যবহার সর্বপরি ক্ষতিকারক পোকা দমন ও উপকারী পোকা সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে ৬টি বুথের মাধ্যমে ফসলের রোগ বালাই ও পোকা-মাকড় দমন বিষয়ে যে ধারণা দেয়া হলো তা সারা জীবন মনে রাখতে কৃষাণ-কৃষাণীদের অনুরোধ জানান।

সভাপতি বলেন, যেখানে প্রদর্শনের মাধ্যমে ক্ষতিকর পোকা ও উপকারী পোকা হাতে-নাতে চিনিয়ে দেয়া হচ্ছে, সত্যি এ ধরনের পদক্ষেপ একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

তিনি এ ধরনের মাঠ দিবসের আয়োজনের জন্য আয়োজকদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ডি. কৃষিবিদ মো. নুরুজ্জামান। তিনি কৃষক মাঠ স্কুলে মোট ৪৫টি সেশনে বোরো ফসলের জমি তৈরি থেকে শুরু করে ফসল কর্তন পর্যন্ত কারিগরি জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে তার বিস্তারিত বর্ণনা করে। মাঠ দিবসে স্কুলের কৃষাণ-কৃষাণী ছাড়াও এলাকার ১৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।