জেলায় চলতি মৌসুমের আমন ধান আবাদ কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। এবছর ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) ১ লাখ ৪’শ হেক্টর ও স্থানীয় জাত ৮৩ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে রয়েছে।
ইতোমধ্যে (শনিবার পর্যন্ত) ১ লাখ ১১ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে। তাই ভাদ্র মাসের টিপ টিপ বৃষ্টিতে স্থানীয় কৃষকরা আমন আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
খামার বাড়ি সূত্র জানায়, নির্ধারিত জমিতে আমন চাষের জন্য ১৫ হাজার ২১৯ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে উফশী’র বীজতলা ৮ হাজার ৫৯০ ও স্থানীয় বীজতলা ৬ হাজার ৬২৯ হেক্টর জমি। আর মোট আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রাকৃত জমির মধ্যে সদর উপজেলায় ২৫ হাজার ৪২০ হেক্টর, দৌলতখানে ১৪ হাজার ২৪০, বোরহানউদ্দিনে ২০ হাজার ৫৬০ হেক্টর, তজুমুদ্দিনে ১০ হাজার ৯৯০, লালমোহনে ২৫ হাজার ৪৯০, চরফ্যসনে ৭৪ হাজার ৫৫০ ও মনপুরায় ১২ হাজার ৩’শ হেক্টর জমি রয়েছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় তালুকদার বাসস’কে বলেন, জেলায় প্রকৃতিগত ভাবেই একটু দেরিতে আমনের চাষ করা হয়। জুলাই’র শেষ দিকে আমনের চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত আবাদ কার্যক্রম চলবে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টি আমন চাষিদেরে জন্য আর্শিবাদ বয়ে এনেছে।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পারবে বলে জানান তিনি।
সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বাঘমারা এলাকার কৃষক ঝিলন চৌকিদার, সেলিম মাতাব্বর ও হারুন হওলাদার বলেন, ভোলায় প্রতিবছরই আমন ধানের আবাদ ভালো হয়। তাই তারা প্রত্যেকে ২ একর করে জমিতে আমনের চারা রোপন করছেন। ইতোমধ্যে চারা রোপন সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা সব ধরনের পরামর্শমূলক সেবা দিচ্ছেন বলেও জানান তারা।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, জেলায় আমনের মধ্যে সাধারণত বিআর-১১, ২২, ২৩, ব্রীধান-৩০, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪৪, ৪৬, ৫১, ৫২, ব্রী ধান ৭, ৬২ চাষ করা হয়। স্থানীয় জাতের মধ্যে রাজা সাইল, কাজল সাইল, মধুমালতি, কালাগোড়া, কালিজিড়া চাষ বেশি হচ্ছে। এছাড়া বীজতলা তৈরি, পরিমিত সার প্রয়োগ, রোগ-বালাই দমনে কীটনাশক ব্যবহার, সারিবদ্ধভাবে চারা রোপনসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কৃষকদের পরামর্শমূলক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
উপ-পরিচালক প্রসান্ত কুমার সাহা বলেন, গত বছর জেলায় আমনের ফলন ভালো হয়েছে। এবছর জেলায় মোট ৫৭০ টি আমন ক্ষেতের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্ধারিত জমি থেকে এবার ৪ লাখ ২০ হাজার ৮১২ মে:টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সূত্র: বাসস
একজন শিক্ষিত ড্রাগনচাষী ইসমাইল
লক্ষ্মীপুরে প্রাতিষ্ঠানিক জলাশয়ে পোনা মাছের অবমুক্তি
জয়পুরহাটে মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনের পরিমাণ ১৫ হাজার মে. টন
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম