ভোলা জেলায় চলতি মৌসুমের আমন আবাদ কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। ১৯ আগস্ট পর্যন্ত এখানে আবাদ হয়েছে ৮০ হাজার ৮৬৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উফশী রয়েছে ৬২ হাজার ৩৮৩ ও স্থানীয় জাত ১৮ হাজার ৪৮২ হেক্টর।
এছাড়া জেলার ৭ উপজেলায় আমনের মোট আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯৭৫ হেক্টর জমিতে। আগস্টের প্রথম থেকে আবাদ শুরু হয়ে চলবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। নির্ধারিত জমি থেকে ৪ লাখ ৫৭ হাজার ২৬৭ মে. টন চাল উৎপাদনের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে আবাদ আরো বাড়বে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, জেলার ৭ উপজেলায় মোট আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে সদরে ২৫ হাজার ৫৩৮ হেক্টর, দৌলতখানে ১৬ হাজার ৫৪৫, বোরহানউদ্দিনে ১৯ হাজার ৩৪১, লালমোহনে ২৪ হাজার ৩৫, তজুমোদ্দিনে ১২ হাজার ৮৫০, চরফ্যাশনে ৭০ হাজার ৩৩০ ও মনপুরায় ১০ হাজার ৩৩৬ হেক্টর জমি রয়েছে। আর গত বছর আমন আবাদ করা হয়েছিল ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মনোতোশ সিকদার বলেন, ভোলা দ্বীপ জেলা হওয়াতে এখানে একটু দেরিতে ফসল ফলানো হয়। তাই এবছর বর্ষা মৌসুমের প্রথম দিকে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কৃষকরা বিলম্ব করে বীজতলা তৈরি করেছে। আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে এখানে আমন আবাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলবে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত।
তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদের সারিবদ্ধ চারা রোপণ, সুসম মাত্রায় সার প্রয়োগসহ সব ধরণের পরামর্শ সেবা প্রদাণ অব্যাহত আছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারিতে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলবে।
সদর উপজেলার শীবপুর ইউনিয়নের শান্তিরহাট এলাকার কৃষক আল-আমিন, জাফর হোসেন, রহমত আলী ও আব্দুল খালেক বলেন, তারা প্রত্যেকে এক একর করে জমিতে আমন আবাদ করছেন। ইতোমধ্যে ৮০ ভাগ চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে তাদের। কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরণের পরামর্শ সেবা পাচ্ছেন বলে জানান তারা।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় তালুকদার বলেন, এখানে সাধারণত ব্রিধান-৫১, ৫২, ৭৬, ৭৭, বিআর ২২, ২৩ জাতের আমন বেশি আবাদ করা হয়। এছাড়া এবছর ২১০টি আমনের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ফামর্সএন্ডফার্মার২৪/জাকির