মধ্যরাত থেকে ২২ দিন পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

403

ইলিশ রক্ষায় প্রজনন মৌসুমে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে ২২ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ। মধ্যরাত থেকে ৪ঠা নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ। এই নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা, পরিবহণ, বিক্রি ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

আশ্বিন মাসের অমাবস্যা ও ভরা পূর্ণিমায় মা ইলিশ প্রচুর ডিম পাড়ে। ইলিশের ডিমের পরিপক্কতা ও প্রাপ্যতার ভিত্তিতে এবং আগের গবেষণার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। এ বছর ১৪ই অক্টোবর থেকে ৪ঠা নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন মাছ শিকার বন্ধ থাকবে।

নিষেধাজ্ঞার সময়ে মা ইলিশ উপকূলীয় এলাকা থেকে ডিম ছাড়ার জন্য পদ্মা-মেঘনায় চলে আসে। অবাধে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

ইতোমধ্যে নৌকাসহ মাছ ধরার সরঞ্জাম তীরে উঠিয়ে নিয়েছে জেলেরা। প্রকৃত জেলেদের সরকারি সহায়তা দেয়ার দাবি জেলেদের। তারা জানান,’প্রকৃত জেলেদের যদি ঘরে ঘরে সহায়তা দেয়া হতো তবে মাছ ধরা বন্ধ হতো। সরকার আমাদের সহায়তা করে ধরেন ২০কেজি চাল দেয় কিন্তু আমরা ২০কেজি চাল পাই না। কিছু টাকা বা চাল যদি দেয় তবে এ মাছ ধরা ব্নধ হবে নয়তো হবে না।’

জেলেরা যাতে এই সময়ে ইলিশ শিকার করতে না পারে সেজন্য সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুল বাকী জানান,’জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ, কোষ্টগার্ড সম্মিলিত সহযোগীতা নিয়ে কাজ করবো যাতে, অসাধু জেলেরা আমাদের এই জাতীয় মাছের প্রজনন সময়ে যেন বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে।’

চাঁদপুরে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত ৫১ হাজার ১শ ৯০ জন জেলে। এ বছর ৫০ হাজার জেলেকে ২০ কেজি করে চাল দেয়া হবে।

সূত্র: ডিবিসি নিউজ

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৩অক্টোবর২০