মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য: সাড়ে ৪ টাকার ডিম ভোক্তা খাচ্ছে ৯ টাকায়!

488

egg

খামারিদের কাছ থেকে ক্রয় করার পর হাতবদল হয়ে প্রতিটি ডিম ভোক্তা পর্যন্ত আসতেই ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়ে যাচ্ছে! পোল্ট্রি খামারিরা প্রতিটি ডিম সাড়ে ৪ টাকা করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করলেও খুচরা ক্রেতারা কিনছেন ৮-৯ টাকায়।

প্রতিরাতেই প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ট্রাকে ট্রাকে ডিম আসছে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের নিমতলী বাজারে। ঢাকার ছোট-বড় পাইকারি বিক্রেতাদের ভিড়ে প্রতিরাতেই সরগরম হয়ে উঠছে নিমতলীর ডিমের বাজার।

নিমতলীর আড়তদাররা প্রতিটি ডিম ৪ টাকা করে কিনে ছোটবড় পাইকারদের কাছে ৫ টাকায় বিক্রি করছেন। অথচ রাজধানীর বাজারভেদে এই ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ৯ টাকায়।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারের এই বিশৃঙ্খলতার কারণে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খামারিরা, তেমনি ঠকছেন ভোক্তাসাধারণ।
রাজধানীর নিমতলী ডিমের আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে হাঁস-মুরগির ডিমভর্তি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান আসতে শুরু করে।

গাজীপুর, সাভার, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, নরসিংদী ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসব ডিম আসে। ভোররাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা।

তেজগাঁওয়ের ডিম ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আমানাতুল্লাহর এ ব্যাপারে বলেন, বাজারের ৮৬টি ডিমের আড়ত থেকে প্রতিরাতে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার ডিম বিক্রি হচ্ছে। ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি টাকার ডিম বেচাকেনা হয়। তবে খুচরা পর্যায়ে দাম অনেক বেশি নেয়া হচ্ছে।

আড়ত ঘিরে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যই ডিমের দাম বাড়ার মূল কারণ। ওরা আমাদের কাছ থেকে কম দামে ডিম কিনে আরেক দফা পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে। এত হাতবদলই মূল্যবৃদ্ধির বড় কারণ।

কথা হয় নিমতলীর আড়ত থেকে খানিকটা দূরে পাইকারি ও খুচরা ডিম বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান হাজী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. নাসির উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতিহালি ডিম ২০ টাকায় ক্রয় করে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ২৭-২৮ টাকা হালিতে বিক্রি করি।

ওরা বিক্রি করে ৩৪ থেকে ৩৬ টাকায়। হাতবদলের কারণে ডিমের দাম বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, বাজারের অব্যবস্থাপনা ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা গেলে সাধারণ মানুষ আরও কম দামে ডিম কিনতে পারবে।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন