মরিচের ফুল যেসব কারণে ঝরে পড়ে:
১) দিনের তাপমাত্রা ৩০℃ এর বেশি হলে এবং রাতের তাপমাত্রা ১৬℃ এর নিচে হলে ।
২) অতিবৃষ্টি হলে।
৩) গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকলে ।
৪) ফুল এর পরাগায়ন হতে না পারলে।
৫) ফুল আসা গাছে মাটিতে সার প্রয়োগ করলে ।
৬) NPK এর পরিমাণ কমে গেলে।
৭) শোষক জাতীয় পোকা( সাদামাছি, জাব , জ্যাসিড) যাদের খালি চোখে সহজে দেখা যায় না তাদের আক্রমণে ফুল ঝরে যায়।
৮) মাটিতে যদি বোরণ সার না দেয়া হয় তাহলেও ফুল ঝরে যাবে।
প্রতিকার:
১) গাছের মাটি বেলে দোয়াশ হতে হবে এবং মাটির পানি নিষ্কাশন ক্ষমতা ভালো থাকা জরুরি। গোড়ায় যেন পানি জমে না থাকে।
২) অতি পরিমানে কীটনাশক স্প্রে করলে উপকারী পোকা মারা যায়, তখন পরাগায়ন হয় না।
৩) সুষম পরিমানে সার প্রয়োগ।
৪) জাব পোকা, জ্যাসিড পোকা, সাদা মাছি, ইত্যাদি শোষক পোকার আক্রমণ রোধে ইমিডাক্লোপ্রিড স্প্রে ১মিলি/লিটার হারে স্প্রে করতে হবে।
৫) হরমোন স্প্রে করা যেমন জিব্রেলিক এসিড অথবা ট্রায়াকন্টোনল ৭ দিন পর পর ৩-৪ বার।
তাছাড়া অন্যান্য ফল গাছের ফুল ঝরে পড়ার জন্য শোষক পোকা,অতি বৃষ্টিপাত , সার ব্যবস্থাপনা, বোরন সার এর ঘাটতি, পরাগায়ন এর অভাব, উপকারী পোকার মৃত্যু দায়ী।
আমরা যে ভুলটি বেশি করি তা হলো মনের শান্তির জন্য সবার সব উপদেশ নিয়ে ২-১ দিন পর পর সব দিয়ে থাকি। যেমন সামান্য মাথা ব্যাথা হলে যেখানে প্যারাসিটামল খেলেই সেরে উঠা যায় ঐখানে অন্য নানান ঔষধ সহ যদি এন্টিবায়োটিক খাওয়ানো হয় তো রোগ কি আর সারবে? আবার ভাইরাস আক্রমণের জন্য যদি অন্য ঔষধ দেয়া হয় তাতেও গাছ ঠিক হবে না।
এক্ষেত্রে বাগান নিজে পরীক্ষণ করে নিজেকেই সমাধান দিয়ে ধৈর্য ধরতে হবে। অন্য জিনিসের মত গাছ রাতারাতি ঠিক হয়ে যায় না। একটু সময় লাগে ফলাফল আসতে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১