..
যমুনাপাড়ি ছাগল বিদেশি জাতের ছাগল। যমুনা পাড়ি ছাগল কে আমরা রাম ছাগল বলে ডাকি। যমুনাপুরী জাতের ছাগল উত্তরপ্রদেশের যমুনা, গঙ্গা ও চম্বল নদীর মধ্যবর্তী এটোয়া জেলায় এবং আগ্রা ও মথুরা জেলায় দেখা যায়।বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় এ জাতের ছাগল পাওয়া যায়। এরা মাংস ও দুধ উভয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। সংকরায়নের কাজে অন্যান্য দেশী জাতের সহিত এদের মিলন করানো হয়।
যমুনাপাড়ি ছাগলের বৈশিষ্টঃ-
এদের শরীরের রং সাদা, কালো , হলুদ বাদামী বা বিভিন্ন রঙয়ের সংমিশ্রণে হতে পারে।
যমুনা পাড়ি ছাগলের শরীরের গঠন লম্বাটে। পা খুব লম্বা এবং পিছনের পায়ের পেছন দিকে লম্বা লোম আছে। এদের পা বেশ লম্বা; পেছনে লম্বা লোম থাকে।
এদের কান লম্বা ও ঝুলন্ত। সাধারনতঃ ৭-১০ ইঞ্চির অধিক ঝুলন্ত কান দেখা যায়।
ছাগীর ওলান বেশ বড়, সুগঠিত ও ঝুলন্ত। বাটগুলো মোটা ও লম্বা।
শিং চ্যাপ্টা ও খাটো ও বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে।
শরীরের উচ্চতা ৩২-৪০ ইঞ্চির অধিক হতে পারে।
একটি পূর্ণবয়স্ক পাঁঠার ওজন ৬০-৯০ কেজি এবং ছাগীর ওজন ৪০-৬০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।
এরা অত্যন্তও কষ্টসহিষ্ণু ও চঞ্চল।
এরা দেরিতে বয়ঃপ্রাপ্ত হয়।
যমুনা পাড়ি জাতের ছাগী বছরে একবার বাচ্চা দেয় এবং বছরে ১-২ টি বাচ্চা প্রসব করে। প্রতিবার গর্ভধারন করে।
যমুনাপাড়ি জাতের ছাগলের দুধ প্রদান ক্ষমতা খুবই বেশি।
প্রতিদিন প্রায় ১.৫-২ কেজির অধিক দুধ দেয়।
দুধে প্রায় ৪ – ৫ ভাগ ফ্যাট থাকে।
এদের মাংশ ব্লাকবেঙ্গল ছাগলের মতো সুস্বাদু নয় এবং চামড়া ও উন্নত মানের নয়। তবু দুধ ও মাংশ উৎপাদনের উদ্দেশ্যে এদেশে যমুনা জাতের ছাগল পালন করা হয়।
এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্লাকবেঙ্গল ছাগলের মতো নয়।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৩ডিসেম্বর২০২০