[su_slider source=”media: 3427,3428″ title=”no” pages=”no”]
মো. আবদুর রহমান, মাগুরা থেকে: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) সমন্বিত কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ প্রকল্পের আওতায় মাগুরার কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত পাঁচদিনের কৃষি প্রযুক্তি মেলা গত ৫ মার্চ শেষ হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে ডিএইর আয়োজনে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পংকজ কুমার কুন্ডু বলেন, সরকারের কৃষি বান্ধব নীতির ফলে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকের পাশে থেকে নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি প্রয়োগের ফলে এটি সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন আমাদের কৃষি জমির পরিমাণ কমলেও আধুনিক জাত ও প্রযুক্তি প্রয়োগের ফলে ফলন অনেক বেড়েছে। আমাদের কৃষির এ অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে। সরকারের কৃষিতে নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, কর্মক্ষম জাতি গঠনে আমাদের এখন পুষ্টির প্রতি নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে মহিলাদের বেশি ভূমিকা নেয়ার আহবান জানান তিনি। কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ পার্থ প্রতিম সাহা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক খোন্দকার আজিম আহম্মেদ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব মো. তানজেল হেসেন খাঁন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মুন্সী রেজাউল হক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রুস্তম আলী।
এর আগে গত ১ র্মাচ মাগুরা জেলা প্রশাসক মুহ. মাহবুবুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলা উদ্ভোধন করেন। উদ্ভোধনকালে তিনি মেলার গুরুত্ব ও কৃষি প্রযুক্তি বিস্তারের সাফল্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন। উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ পার্থ প্রতিম সাহা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ মোঃ সোহরাব হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা পৌরসভা মেয়র মো. খুরশিদ হায়দার টুটুল, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আ.ফ.ম. আব্দুল ফাত্তাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আবু নাসির বাবলু ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাসুদেব কুন্ডু। এবারের মেলায় ২০টি স্টলে জেলার ৪টি উপজেলার কৃষির বিভিন্ন প্রযুক্তি উপস্থাপন করাসহ প্রতিদিন সন্ধায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। উদ্ভোধনের আগে প্রধান অতিথির নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।