মাগুর মাছের একক চাষে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরী করে মাছ চাষ করতে গেলে অনেক সময় লাগবে। তাতে আপনার চাষের মেয়াদ কাল অনেক লম্বা হয়ে যাবে। তবে পুকুর প্রস্তুতির শুরুতেই শতকে ২ কেজি করে চুন প্রয়োগ করে তলায় পচনশীল পদার্থকে সম্পূর্নভাবে পচে পুকুরকে পরিচ্ছন্ন হতে সুযোগ দিন।
শতকে ২৫০ টার বেশী পোনা ছাড়বেন না। শুরুতে পোনার দেহের ওজনের ১২-১৫% খাবার দেন । ১০ দিন অন্তর অন্তর খাদ্যের পরিমান ২% করে কমাতে থাকেন । মাছের ওজন গড়ে ১০০ গ্রাম হয়ে গেলে গড়ে ৪% খাবার দেন।
অন্য পুকুরে সিলভার কার্প পালন করে সিলভার কার্পের মাংস থেতলেও দিতে পারেন;
দারুন কাজে দেবে। শামুকের ভেঙ্গেও ব্যবহার করতে পারেন।
প্রাকৃতিক খাবার তৈরির জন্য শুরুতে শতকে ৫-৬ কেজি কম্পোষ্ট, ২০০ গ্রাম ডিএপি গুলিয়ে দিতে পারেন। এর ৪-৫ দিনের পরে পোনা ছাড়তে পারেন। কোম্পানীর খাদ্য খাওয়ালে কাজ ভাল হবে। পিলেট খাবারের পাশাপাশি হাতে বানানো খাবার মাগুরের জন্য প্রযোজ্যটি প্রয়োগ করতে পারেন।
মাছের কালার আসা না আসা নির্ভর করে খাদ্য এবং পরিবেশের উপর। যদি খাদ্যের মধ্যে এমন কোন উপাদান থাকে যা কালো বা তার কাছাকাছি কোন রং হয়ে থাকে তাহলে মাছের রং কালো আসবে।
যদি পুকুরে কচুরী পানা বেশী থাকে; খাবারের মধ্যে সরিষার খৈল বা তিলের খৈল বা এই রকম যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে কালার কালচে বা ধুসর আসবে। এছাড়াও স্ত্রী মাগুর কিন্তু কালো!
তাছাড়াও কোন কোন অসত হ্যাচারী মালিক কিন্তু হাইব্রিডের সাথে ক্রশ করে করে মাগুর এর রং কালো করে ফেলেছে!
সেক্ষেত্রে মাছের পোনার লটের প্রথম দিকে নিলে বা বড় গুলি নিলে ভাগে পুরুষটাই পাবেন;
এবং তামাটে!
সাবধানতা: মাগুর মাছ পালিয়ে যেতে পারে এমন ঢাল সম্পন্ন পাড় রাখা যাবে না। মাগুর একটু বড় হলেই পালানোর চেষ্টা করে; তাই পাড় নিশ্চিত করতে না পারলে নেট দিয়ে ঘিরে দিন। এতে সাপের উপস্থিতিও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।