মাছের ক্ষত রোগ ও চিকিৎসা

1613

image-4251

শীতকালে মাছের রোগ-বালাই বেশি হয়ে থাকে। যার কারণে খামারিরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির শিকার হয়। দূষিত পানি বা পানির চেয়ে মাছ বেশি হলে উপযুক্ত খাবারের অভাব, পানির তাপমাত্রা, ক্ষারকতা বা অমস্নত্বের অত্যধিক হ্রাস বৃদ্ধি হয়, এছাড়া পরজীবী ও জীবাণুর আক্রমণে শীতকালে মাছের শরীরে রোগ দেখা দেয়।

রোগের নাম – মাছের ক্ষত রোগ (ইপিজুটিকআরসারেটিভসিনড্রোম )

আক্রান্ত মাছের প্রজাতি – শোল, গজার, টাকি, পুঁটি, বাইম, কৈ, মেনি, মৃগেল, কার্পিও এবং তলায় বসবাসকারী অন্যান্য প্রজাতির মাছ।

রোগের লক্ষন ও কারণ
ক. এ রোগের মুল কারণ এ্যাফানোমাইসিস ইনভাডেনস্ নামক ছত্রাক দ্ধারা মূলতঃ মাছের মাংসপেশী আক্রান্ত হয়। এছাড়া কিছু ব্যবকটিরিয়া, প্রোটোজোয়া সংশ্লিষ্ট আছে বলে জানা যায়। রোগাক্রান্ত হওয়ার পূর্বে পানির গুনাগুনের অবনতি ঘটে, যেমন ঃ

i) হঠাৎ তাপমাত্রার কমতি (১৯° সেঃ এর কম)।
ii) পি, এইচ-এর কমতি (৪-৬)।
iii) এ্যালকালিনিটির কমতি (৪৫-৭৪ পিপিএম)।
iv) হার্ডনেস-এর কমতি (৫০-৮০ পিপিএম)।
v) ক্লোরাইড এর স্বল্পতা (৩-৬ পিপিএম)।

চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ

ক. নিরাময়ের জন্য ০.০১ পিপিএম চুন ও ০.০১ পিপিএম লবন অথবা ৭-৮ ফুট গভীরতায় প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ১ কেজি হারে চুন ও ১ কেজি হারে লবন প্রয়োগ করলে আক্রান্ত মাছগুলো ২ সপ্তাহের মধ্যে আরোগ্য লাভ করে।

প্রতিকার

ক. আগাম প্রতিকার হিসাবে আশ্বিন কার্তিক মাসে বর্ণিত হারে লবন ও চুনের প্রয়োগ করলে আসন্ন পরবর্তী শীত মৌসুমে মাছের ক্ষত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায়।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১২ফেব্রু২০২০