মাছ ও পোল্ট্রি খাদ্যের দাম বৃদ্ধি করলে ব্যবস্থা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

1036

মাছ ও পোল্ট্রি খাদ্যের দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, এই ক্রান্তিকালে মন্ত্রণালয় ও দফতর-সংস্থাকে সবচেয়ে সক্রিয় করতে চাই, যাতে করোনার প্রভাবে ডিম, দুধ, মাছ, মাংস উৎপাদন, সরবরাহ, পরিবহন ক্ষেত্রে কোনো বাধা না হয়। কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত সমস্যা সার্বক্ষণিকভাবে সমাধান করা হচ্ছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মাছ ও পোল্ট্রি খাদ্যের দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে করোনা পরিস্থিতিতে মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতের সংকট মেকাবেলায় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ সংক্রান্ত এক জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

করোনা পরিস্থিতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সংকট মোকাবেলায় ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি সংকট মোকাবেলায় এক সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে একটি নীতিমালা প্রস্তুত করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় ও দফতর-সংস্থার চলমান কার্যক্রম গতিশীল করা এবং যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে প্যাকেজ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ মুহূর্তেই শুধু নয় আগামীতেও যাতে করোনা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ক্ষয়-ক্ষতির মধ্যে এ সেক্টর না পড়ে সেটাকে সবচেয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আমরা বিবেচনায় রাখছি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকারসহ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের আর্থিক ঋণ সহায়তা প্রকল্প এলডিডিপির আওতায় ইমার্জেন্সি রেসপন্স হিসেবে পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতের জন্য প্রায় একশত মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক মূল্যের পোল্ট্রি ও ডেইরি খাদ্য, দুধের ক্রিম সেপারেটর মেশিন, কুলিং ভ্যান ও জীবাণুনাশক স্প্রে ক্রয়সহ নগদ প্রণোদনার জন্য বিশ্বব্যাংকে প্রস্তাব প্রেরণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তা এবং খামারীদের আর্থিক ক্ষতি মোকাবেলায় ব্যাংক বা এনজিও থেকে গৃহীত ঋণের কিস্তি ও সুদ এক বছরের জন্য মওকুফকরণ, ২ হাজার কোটি টাকা নগদ প্রণোদনা প্রদান এবং বিনা সুদে ও সহজ শর্তে ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রদানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে ইতিমধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, করোনা সংকটে কোনোভাবেই মুরগীর বাচ্চা, মাছ ও পোল্ট্রি খাদ্য, ভ্যাকসিন উৎপাদন, পরিবহন ও আমদানিতে ঘাটতি রাখা যাবে না। চিংড়িসহ অন্যান্য মাছের পোণা উৎপাদন, সরবরাহ ও বিপণন স্বাভাবিক রাখতে হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সম্পৃক্ত উদ্যোক্তা, খামারী, রফতানিকারক, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সরকারি সহায়তার আওতায় আনা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর-অধিদফতরের জেলা-উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে কোনোভাবেই গাফিলতি সহ্য করা হবে না মর্মেও সতর্ক করেন মন্ত্রী।

সূত্র: যুগান্তর

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৯এপ্রিল২০