মাছ চাষে যেভাবে আতুর পুকুর প্রস্তুত করবেন

1938

20170907_101849-582x350

মাছ চাষে আতুর পুকুর ব্যবস্থাপনায় করণীয় সম্পর্কে সকল মাছ চাষিরই জেনে রাখা উচিত। রেনু মাছ চাষের জন্য প্রথম যে পুকুরে রেনু ছাড়া হয় তাকে আতুর পুকুর বলে। মাছ চাষের ক্ষেত্রে আতুর পুকুর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চলুন জেনে নেই মাছ চাষে আতুর পুকুর ব্যবস্থাপনায় করণীয় সম্পর্কে-

মাছ চাষে আতুর পুকুর ব্যবস্থাপনায় করণীয়:
১। আতুর পুকুর ২০ থেকে ৫০ শতক হলে ভাল হয়। বড় পুকুর হলে ব্যবস্থাপনায় বিঘ্ন ঘটতে পারে। নতুর কিংবা পুরাতন উভয় পুকুরেই রেনু চাষ করা যায়।

২। নতুন পুকুর খনন করার পর সামান্য পানি এবং খৈল গোবর সার দিয়ে কিছু দিন রেখে দিয়ে তারপর পানি সেচে পুকুরের তলা শুকিয়ে নতুন করেে প্রস্তুত করে নিতে হয়।

পুরাতন পুকুর প্রস্তুত প্রনালী:

১। প্রথমে পুকুর সেচ দিয়ে পানি শুকায়ে নিতে হয়। এমনভাবে শুকাতে হয় যেন কোথায়ও পানি না থাকে।

২। তারপর উত্তম ভাবে মই টেনে পুকুরের তলা সমান করে নিতে হয়। সেচের গতে’ ২/১ টা গ্যাস ট্যাবলেট দিলে অবাঞ্চিত কিছু থাকেনা।

৩। পুকুর পাড়ের ভিতর অংশে আগাছা পরিস্কার এবং তলায় শামুক বা গাছের পাতা তোলে পরিস্কার হরে নিতে হবে।

৪। পুকুরে শতাংশ প্রতি ১৫০ গ্রাম ডি এ পি, ১০০ পটাস সার সমস্ত পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে।

৫। রেনু ডেলিবাড়ী নেওয়ার তিন দিন আগে থেকে পানি দেওয়া শুরু করতে হবে।

৬। পুকুরে রেনু ছাড়ার ২৪ ঘনটা আগে শতাংশ প্রতি ৫ মিলি হারে সুমিথিউন দিতে হবে এবং শতাংশ প্রতি ২০০গ্রাম জিওলাইট দিয়ে মই টেনে দিতে হবে।

৭। পুকুরে রেনু ছাড়ার সময় পানি আড়াই তিন ফুট হতে হবে।

৮। পুকুরে রেনু ছাড়ার ১ ঘন্টা আগে স্যালাইন দিতে হবে।

৯। পুকুরে রেনু ছাড়ার পর সবচেয় ভাল খাদ্য হল সিদ্ধ ডিম। শতাংশ প্রতি একটি করে দিলেই চলবে। এ ভাবে ৪/৫ দিন চলবে। তারপর খাদ্য পরিবত’ন করতে হবে।

১০। রেনু ছাড়ার ৫/৬ দিন পর শতাংশে ২ মিলি হারে সুমিথিউন ব্যবহার করবেন, নতুবা হাঁস পোকায় রেনু কেটে ফেলে।

১১। রেনুর পুকুরে ২য় ডোজ সুমিথিউন দেওয়ার পর ইচ্ছা হলে প্রোবায়োটিক দিতে পারেন। প্রোবায়োটিক ব্যবহারের পর কোন প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে না।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৩ফেব্রু২০২০