মাছ চাষে যেসব ঝুঁকির সৃষ্টি হতে পারে

1218

Pond_Fish_provatferi-2019-10-15-13-22-05
মাছ চাষে যেসব ঝুঁকির সৃষ্টি হতে পারে সেই সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জানা নেই। মাছ চাষে লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে মাছের সঠিক ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মাছ চাষে অনেক সময় বিভিন্ন ঝুঁকির সৃষ্টি হয়। এসব ঝুঁকিতে কি করতে হয় বা কিভাবে তার সমাধান করতে তা অনেকেরই জানা নেই। চলুন জেনে নেই মাছ চাষে যেসব ঝুঁকির সৃষ্টি হতে পারে সে সম্পর্কে-

মাছ চাষে যেসব ঝুঁকির সৃষ্টি হতে পারেঃ
মাছ চাষে নানা কারণে ঝুঁকির সৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে যে উপায়ে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে তা অনেকেই পারেন না। নিচে যেসব কারণে ঝুঁকির সৃষ্টি হতে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

ঝুঁকি সৃষ্টির কারণঃ

পানি পরিবর্তন
বায়ু সঞ্চালন
চুনের ব্যবহার
লবনের ব্যবহার
অনেক সময় মাছ মল-মূত্র ত্যাগ করে এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই তা মাছের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। অনেক সময় মাছ নিজের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য নিজের মল খাদ্য হিসেবে গ্রহন করতে পারে। ফলে মাছ জটিল কোন সমস্যায় পড়তে পারে।

বিশেষ করে তেলাপিয়া ও মাগুর মাছ নিজেরটা সহ অন্য মাছেরও মল অন্তত খাদ্য হিসাবে গ্রহন করতে পারে। সাধারনত মাছের মলে কম হলেও মূত্রে এ্যামোনিয়ার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

কোথাও অধিক ঘনত্বে মাছ চাষ করতে চাইলে প্রচুর খাবার প্রয়োগের কারনে প্রচুর মল-মুত্র মাছ ত্যাগ করবে। মূত্রে উপস্থিত এই এ্যামোনিয়ার উপস্থিতি যদি গ্রহন যোগ্য মাত্রা পার হয়ে যায় তখন মাগুর মাছকেও আক্রান্ত হতে পারে।

এমন অবস্থায় মাছের খাদ্য গ্রহন চাহিদাও কমে যায়। আর সাথে সাথেই মাছের দূর্বলতা সৃষ্টির পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও স্বল্প সময়ের মধ্যেই কমে যায়।

বিভিন্ন মাছ নানা ধরনের প্রতিকূল পরিবেশে ভিন্ন ভিন্ন সমস্যার মুখামুখি হয় এবং দূর্যোগের কারণে মহামারীর শিকার হয়ে থাকে। যেমন-

১। যদি বাতাসের অভাব দেখা দেয় তাহলে সব মাছ খাবি খেতে থাকে।

২। যদি মাছ চাষের পানিতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বেশী হলে কাতলা মাছের ফুলকা চুপসে গিয়ে মারা যেতে পারে।

৩। মাছ চাষের পানিতে তীব্র অক্সিজেন স্বল্পতায় সরপুটি ও সিলভার কার্প শুরুতেই মারা যেতে পারে।

৪। মাছ চাষের পানিতে ফাইটোপ্লাংক্টনের বয়স ১২-১৫ দিন হয়ে গেলে তেলাপিয়া, সিলভার কার্প এবং শামুক মারা যাওয়া শুরু করে এরকম অনেক সমস্যাই দেখা দিতে পারে।

৫। মাছ চাষের পানিতে এ্যামোনিয়ার অতি মাত্রায় বেড়ে গেলে শিং, মাগুর, গুলশা ও আইড় এই ধরনের মাছ গুলির ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং অনুজীব ও ফাঙ্গাস আক্রমন করে থাকে।

৬। মাছ চাষের পানিতে এ্যামোনিয়া টক্সিসিটিতে প্রথমেই সিলভার কার্প চক্কর দিয়েই দৌড় দিয়ে উপর দিকে লাফিয়ে উঠেই মারা গিয়ে থাকে।

তাই মাছ চাষিদের এসব ব্যাপারে সব সময় সচেতন থাকতে হবে। মাছের পানিতে বিভিন্ন উপাদান ও মাছের আচরণ দেখে পরিস্থিতি সনাক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/০৮মার্চ২০