মাঝারি আকারের গরুতে জমেছে কোরবানির পশুর হাট

80

মাঝারি আকারের গরুতে জমেছে কোরবানির পশুর হাট। হাটে বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। এই গরুগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম নিয়ে পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করছে ক্রেতা-বিক্রেতারা। ক্রেতারা বলছেন দাম বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, হাটে গরু রয়েছে। তবে ক্রেতারা দাম বলতে চাচ্ছে না। হাটে তুলনামূলক মাঝারি আকারের গরুগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজশাহীর নওহাটায় সিটি পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। হাটে গিয়ে দেখা গেছে, মাঝারি আকারের গরুর মধ্যে দামের দিক থেকে ৭০ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। হাটে এমন গরুর চাহিদা বেশি। এরমধ্যে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা দামের গরুগুলো একজন বা দুইজনে নিচ্ছেন কোরবানির জন্য। আবার ১ লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দামের গরু ৫ থেকে ৭ ভাগে কোরবানির জন্য কিনছেন ক্রেতারা।

গরু বিক্রেতা আজিজুল ইসলাম তানোর থেকে তিনটি গরু বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে এসেছেন। তার তিনটি গরুর মধ্যে দুইটার দাম চাচ্ছেন এক লাখ ২০ হাজারের মধ্যে। আর একটি গরুর দাম চাচ্ছেন এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। এরমধ্যে দুপুরে মাঝারি আকারের দুটি গরু বিক্রি করেছেন তিনি। তবে দামে না হওয়ায় বড় গরুটি বিক্রি করতে পারেননি তিনি।

আরেক গরু বিক্রেতা হৃদয় ইসলাম বলেন, গরুর বাজার ভালো না। বাজারে গরুর গোশতের দাম বেশি। কিন্তু হাটে গরুর দাম কম। বাজারে গরুর গোশত ৭৫০ টাকা কেজি। সেই হিসেবে একমণ গোশতের দাম পড়ছে ৩০ হাজার। অনেকেই এই টার্গেটের কম দাম বলছেন। গরুর দাম চাইলে ক্রেতারা দাম না বলে চলে যাচ্ছে। তার (রজব আলী) মনে হয়েছে হাটে গরু কেনা-বেচা কম। তার বিক্রি না হলে তিনি আগামী রোববারের শেষ হাটে গরু তুলবেন বলে জানান।

মোহনপুর উপজেলা বাসিন্দা নজরুল ইসলাম দুইটা গরু বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, হাটে গত বছরের তুলনায় গরুর দাম কিছুটা কম। তবে গরু বেশি থাকলেও ক্রেতা কম। এখনও কোরবানির কয়টা হাট রয়েছে। অনেকেই শেষ হাটের দিকে গরু কিনবেন।

গরু ক্রেতা মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, হাটে গরুর দাম তুলনামূলক বেশি। এক লাখ ও দেড় লাখ টাকা দামের গরুগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। ছোট ও মাঝারি আকারের এই গরুগুলোর চাহিদা বেশি। এই গরুগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। তারা সাত ভাগে কোরবানি দেবেন। তাই একটা গরু তারা কিনেছেন এক লাখ ৪৫ হাজার টাকায়। গরুটির ওজন হবে প্রায় সাড়ে ৪ মণ।