মাটিতে নয়, পেঁয়াজ ধরে গাছের ডগায়!

383

গাছের ডগায়

বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু পেঁয়াজ। কারণ একটাই, বেশি দাম। কম দামি পেঁয়াজ ডাবল সেঞ্চুরি করায় আহত হয়েছেন ক্রেতা সাধারণ। দেশে পেঁয়াজের সংকট কাটাতে বেশ সময় লেগে যায়। সংগত কারণেই বিদেশ থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। প্রতিবেশী দেশ ভারত পিছু হটে গেলেও অনেক দেশ এগিয়ে এসেছে।

পেঁয়াজের সংকট নয়, এখন আলোচনা করবো ভিন্নধর্মী পেঁয়াজ নিয়ে। আমরা জানি, ভারত বা বাংলাদেশের পেঁয়াজ সাধারণত মাটির নিচে পাওয়া যায়। পেঁয়াজ খাওয়ার উপযুক্ত হলে মরে যায় গাছ। তখন মাটির নিচ থেকে টেনে তুলতে হয় পেঁয়াজ। এটাই প্রচলিত নিয়ম। তবে এর ব্যতিক্রমও রয়েছে। শুধু মাটিতে নয়, পেঁয়াজ ধরে গাছের ডগায়।

 

জানা যায়, দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেলে বিকল্প দেশ মিশর থেকে আনা হয় পেঁয়াজ। কার্গো বিমানে পেঁয়াজের প্রথম চালান আসে দেশে। সেই পেঁয়াজ সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায় এমন তথ্য। মিশরের এ পেঁয়াজ ধরে গাছে। এ ধরনের পেঁয়াজকে ‘ট্রি অনিয়ন’, ‘ইজিপশিয়ান ট্রি অনিয়ন’, ‘টপ অনিয়ন’, ‘উইন্টার অনিয়ন’ নামে ডাকা হয়।

সূত্র জানায়, মিশরের এ পেঁয়াজের বৈজ্ঞানিক নাম ‘আলিয়ুম প্রলিফারাম’। এ পেঁয়াজ গাছের গোড়ায় না হয়ে আগায় ধরে। সাধারণত গাছের গোড়ায়ই পেঁয়াজ হয়, যা মাটির নিচে থাকে। বাংলাদেশ ও ভারতসহ দুনিয়াজুড়ে এভাবেই পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। তবে মিশরে পাওয়া যায় ভিন্নধর্মী এ পেঁয়াজ।

 

‘টপ অনিয়ন’র গাছ সাধারণ পেঁয়াজের মতোই হয়। গাছের প্রতিটি পাতার উপরে ফুলও হয় সাধারণ পেঁয়াজের মতো। পরে ফুলটি ধীরে ধীরে পেঁয়াজে পরিণত হয়। গাছের গোড়াটি দেখতে সাধারণ পেঁয়াজের মতো হলেও এটি আকারে ছোট হয়। তাই গোড়ার অংশকে পেঁয়াজ হিসেবে ব্যবহার করা যায় না।