[metaslider id=”9939″]
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অনেক এলাকায় কৃষিকাজ কঠিন হয়ে পড়ছে৷ ভবিষ্যতে খাদ্য চাহিদা মেটানোর অন্যতম উপায় হতে পারে হাইড্রোপনিকস বা জলচাষ৷
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ
২০৫০ সালে বিশ্বের বর্তমান জনসংখ্যার সঙ্গে আরও তিনশ কোটি মানুষ যোগ হবে৷ এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের কোনো অঞ্চল ডুবে যাচ্ছে, আর কোথাও দেখা দিচ্ছে খরা৷ ফলে ফসল উৎপাদনের নতুন পদ্ধতি খুঁজতে হচ্ছে, বিশেষ করে খরাপ্রবণ এলাকায় কীভাবে শস্য ফলানো যায়, তা ভাবছেন বিজ্ঞানীরা৷ এই সমস্যার সমাধান হতে পারে হাইড্রোপনিকস বা জলচাষ৷
সুবিধা
অল্প জায়গায় চাষ আর বেশি উৎপাদন – হাইড্রোপনিকস দিয়ে দুটোই সম্ভব৷ এই পদ্ধতিতে মাটি ছাড়াই ফসল উৎপাদন করা যায়৷
কৃত্রিম উপায়
আলো ও তাপের ব্যবস্থা করে ফসল উৎপাদন করা হয়৷ আর ফসল যেন দ্রুত বাড়তে পারে, সেজন্য শস্যের মূলে স্প্রেসহ অন্যান্য উপায়ে পুষ্টিকর উপাদান প্রয়োগ করা হয়৷ এভাবে সারা বছরই ফসল উৎপাদন সম্ভব৷
কম পানি, সার
হাইড্রোপনিকস পদ্ধতিতে পানি রিসাইকল করা যায়৷ ফলে প্রচলিত পদ্ধতিতে যত পানি প্রয়োজন হয় তার মাত্র ১০ শতাংশ দিয়েই হাইড্রোপনিকস পদ্ধতিতে ফসল ফলানো যায়৷ এছাড়া একবার ব্যবহৃত হওয়া পুষ্টিকর উপাদান উবে যায় না বলে সারও বেশি প্রয়োজন হয় না৷ আর মাটির সংশ্লিষ্টতা না থাকায় কীটনাশকেরও দরকার পড়ে না৷
খাড়াভাবে উঠে যাওয়া
ছবি দেখে হয়ত কিছুটা বুঝতে পারছেন৷ হাইড্রোপনিকস পদ্ধতিতে সবজির চারা একটির উপর আরেকটি বসিয়ে দেয়া যায়৷ ফলে অল্প জায়গায় বেশি ফসল উৎপাদন সম্ভব৷
অসুবিধা
হাইড্রোপনিকস ব্যবস্থায় প্রচুর পুষ্টিকর উপাদান এবং অবকাঠামো প্রয়োজন হয়৷ প্রচলিত পদ্ধতিতে যেমন আলো আর তাপ সূর্য থেকে বিনামূল্য পাওয়া যায়, জলচাষ ব্যবস্থায় টাকা খরচ করে সেগুলোর ব্যবস্থা করতে হয়৷ আর কোনো কারণে অনেকক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকলে সব ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে৷
ব্যবহার বাড়ছে
হাইড্রোপনিকস পদ্ধতিতে সব সবজি জন্মানো সম্ভব৷ তবে শসা, সবুজ সালাদ, গোলমরিচ, টমেটো, ঔষধি গাছ – ইত্যাদির ফলন ভালো হয়৷ ২০১৬ সালে হাইড্রোপনিকস পদ্ধতিতে ২১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ ফসল উৎপাদিত হয়েছিল৷ প্রতিবছর সেটি সাত শতাংশ হারে বাড়ার কথা৷ ডিডব্লিউ।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন