মাহফুজার গরুর খামার নারীদের অনুকরণীয়

306
সংগৃহিত
সংগৃহিত
সংগৃহিত

আমাদের সমাজে বারবার নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নারীরা প্রমাণ করেছে তারা পুরুষের মতোই কাজ করে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে। এমনি ঘুরে দাঁড়ানো একজনের মধ্যে রয়েছেন আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের মাহফুজা বেগম।

দিনমজুর স্বামী নিজাম মিয়ার একার উপার্জনে দুই মেয়ে নিয়ে কোনোদিন একবেলা কিংবা দু’বেলা আবার কোনোদিন উপোস করে কেটে যেত । সারা দিনের কর্মক্লান্ত দিনমজুর স্বামীর মুখ তাকে বেশি কষ্ট দিত। তাই স্বামীর পাশাপাশি নিজেও কাজ করে উপার্জনের পথ খুঁজতে থাকেন। কিন্তু টাকার অভাবে কিছুই করা সম্ভব হয় না।

মাহফুজা বেগমের মতে, বাড়ির আঙ্গিনায় শুরু করেন সবজি চাষ। পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মিটিয়েও বাকিটা বিক্রি করেন। এই টাকা থেকে কিছু টাকা জমিয়ে একটি বাছুর কিনে লালন-পালন করেন। এক বছর পরে গরু বিক্রি করেন যে দামে কিনেছেন তার চেয়েও অনেক বেশি টাকায়।

লাভের টাকা হাতে পেয়ে প্রত্যাশা বেড়ে যায়। এরপর কয়েকটি বাছুর কিনে লালন-পালন করার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু বাধ সাধে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা। প্রতিবেশীর পরামর্শ আর স্বামীর উৎসাহে যোগাযোগ করেন মুসলিম এইডের স্থানীয় শাখায়। সবকিছু যাচাই করে সংস্থাটি সুদমুক্ত ঋণ হিসেবে তাকে প্রথমে ২০ হাজার টাকা দেয়।

ঋণের টাকা দিয়ে একটি গাভী কিনেন। গাভীর দুধ বিক্রি করে পরিশোধ করেন ঋণের টাকা। মাহফুজা বেগমের লেনদেন আর কঠোর পরিশ্রমে খুশি হয়ে পর্যায়ক্রমে মুসলিম এইডের স্থানীয় শাখা থেকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ পান। ঋণ নিয়ে গাভী কিনে একটি ছোট খামার তৈরি করেন।

মাহফুজা বেগম আরও বলেন, “এহন আর না খাইয়া থাহিনা। এহন টাহার লইগ্গা চিন্তা করা লাগে না। মাইয়াডারে লেহাপড়া করাই। মাইয়াডা স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে।”

মাহফুজার এই সাফল্য আমাদের নারী সমাজকে উজ্জীবিত করে। তার মতো সমাজের নারীরা এগিয়ে এসে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে সবক্ষেত্রে এটাই আশা করেন তিনি। সূত্র: জেএন

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন