নাহিদ বিন রফিক: মিষ্টিআলু এক প্রকার সবজি বিশেষ। খেতে মিষ্টি তাই এর নাম মিষ্টিআলু। কেউ কেউ অবহেলিত ফসল হিসেবে চেনে। তাই তাচ্ছিল্য করে ‘গরীবের খাদ্য’ বলে। অথচ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে চাল এবং গমের পরিবর্তে মিষ্টিআলু ব্যবহার হচ্ছে। মূলজাতীয় শস্যের মধ্যে সবচে’ বেশি শক্তি উৎপন্ন করে মিষ্টিআলু। খাদ্যমান বিবেচনায় এর পুষ্টি গোলআলুর চেয়ে কম নয়, বরং বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম মিষ্টিআলুতে শর্করার পরিমাণ ২৮.২ গ্রাম। অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের মধ্যে আমিষ ১.২ গ্রাম, চর্বি ০.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২০ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৮ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ৫৬৫ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন-বি ০.০৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-সি ২ মিলিগ্রাম এবং খাদ্যশক্তি রয়েছে ১২০ কিলোক্যালরি । সাদা ও লাল দু’বর্ণের এ আলু সাধারণত সিদ্ধ, ভর্তা, আগুনে পুড়ে এবং মাছ-গোশতের সাথে রান্না করে খাওয়া যায়। ইচ্ছে করলে কাঁচাও খেতে পারেন। মিষ্টি আলু দিয়ে হালুয়া, চিপস, পায়েশ এবং আটার সংমিশ্রণে এর গুঁড়ো দিয়ে তৈরি হয় বিস্কুট, রুটি, পাউরুটি, পেস্টি, হরেক রকম পিঠা, কেক এসব মুখরোচক খাবার। প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা যায় শিশুদের বিকল্প খাদ্য। এর আছে আরো গুণ। গ্লুকোজ, চিনি, সিরাপ, স্টার্চ, পেপটিন এবং এ্যালকোহলের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে মিষ্টিআলু। এর কচিপাতা ও ডগা খুব পুষ্টিকর। তাই আসুন, আর অবহেলা নয়; আমরা সবাই মিষ্টিআলু খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলি।