লেয়ার মুরগির খামারে টিকা ব্যবহারের নিয়ম কি সে বিষয়ে পোলট্রি খামারিদের সঠিক জ্ঞান থাকা দরকার। আমাদের দেশে ডিমের চাহিদা পূরণে বর্তমানে অনেকেই লেয়ার মুরগি পালন করছেন। খামারের লেয়ার মুরগিকে নানাবিধ রোগ থেকে রক্ষায় টিকা প্রদানের দরকার হয়। আজকের এই লেখায় আমরা জেনে নিব লেয়ার মুরগির খামারে টিকা ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে-
টিকা দেওয়ার আগের সতর্কতাঃ
মুরগির যে কোন ধরনের ধকল মুক্ত অবস্থায় টিকা প্রয়োগ করতে হবে।
অসুস্থ মুরগিকে টিকা দেয়া যাবে না।
আবহাওয়া যখন ঠান্ডা সেসময়ে টিকা প্রদান করতে হবে।
মুরগি ধরার সময় যত্ন সহকারে ধরতে হবে।
টিকা প্রদান উপকরণ ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে।
টিকা ব্যবহারের নিয়মাবলীঃ
সংক্রামক রোগ বা কৃমিতে আক্রান্ত মুরগিকে টিকা প্রয়োগ করা যাবে না। তাতে কাঙ্খিত মাত্রায় প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয় না বরং আরও ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকবে।
টিকা বীজ কোন অবস্থাতেই সূর্যালোকের সংস্পর্শে আনা যাবে না।
প্রতিষেধক টিকা সবসময়ই সুস্থ পাখিকে প্রয়োগ করতে হয়।
প্রতিষেধক টিকা সকালে বা সন্ধ্যার সময় ঠান্ডা আবহাওয়ায় প্রয়োগ করা ভাল।
ভাইরাস জনিত রোগ প্রতিরোধক টিকা প্রয়োগকালে টিকা প্রয়োগ স্থান পরিষ্কার পানি দ্বারা ধুয়ে নিতে হবে এবং এই জন্য রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যবহারের সময় মিশ্রণ এবং প্রয়োগের ক্ষেত্রে পাত্র, সিরিঞ্জ-নিড্ল, ব্যবহৃত তরল পদার্থ, টিকা ব্যবহারকারীর হাত ইত্যাদি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও বীজাণুমুক্ত রাখতে হবে।
জীবাণুমুক্তকরণের জন্য রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যবহারের সময় টিকা মিশ্রণের পাত্র ছায়াযুক্ত স্থানে বরফ দেওয়া বড় পাত্রের মধ্যে রাখা যাবে না।
টিকা পরিবহনের ক্ষেত্রে ঠান্ডা অবস্থায় পরিবহন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
ব্যবহারের জন্য গোলানোর পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকা ব্যবহার করে ফেলা উচিত। গোলানোর পর গরমের দিনে ১ ঘন্টা এবং শীতের দিনে ২ ঘন্টার মধ্যে ব্যবহার করে ফেলতে হবে।
মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বা টিকার সাধারণ রং পরিবর্তিত হয়ে গেলে সে টিকা আর ব্যবহার করা যাবে না।
তাপ প্রতিরোধক পাত্রের মধ্যে বরফ দিয়ে টিকা বীজ পরিবহন করতে হয়। বরফ গলে গেলে পুনরায় বরফ দিতে হয়।