এটি প্রোটোজোয়াল জিজিজ।(ইন্টাসেলোলার )কোষের ভিতরে থাকে তাই সহজে মারা যায় না।
মুরগির ১ গ্রাম বিষ্টায় প্রায় ৭০লাখ কক্সিডিয়া থাকতে পারে।
এটি মিঠা পায়খানা,ইটা পায়খানা,তাল গুড়,রক্ত পায়খানা ও কক্সি নামে পরিচিত।যদিও মিঠা বা তালগুড় বা ইটা পায়খানা সব সময় কক্সিডিয়া না ।
এপিডিমিওলোজিঃ
পরিবেশ
এটি বর্ষাকালে বেশি হয়।কারণ এই সময় আর্দ্রতা ৭০% থাকে।
২৫-৩২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রায় বেশি হয়,৭-১৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সুপ্তাবস্তায় থাকে।
লিটার যদি ভেজা থাকে তাহলে জীবানূ বৃদ্ধি পায়।
ফার্ম জীবানূমুক্ত না করে যদি মুরগি তোলা হয় তাহলে পূর্বের জীবানূ দিয়ে আক্রান্ত হয়।
হোস্ট
মুরগি,হাস,রাজহাস,কবুতর,টার্কি।
ফি রেঞ্জ মুরগি থেকে খাচায় বা লিটারে পালিত মুরগিতে আমাশয় বেশি হয়।
২-১২ সপ্তাহের মুরগি আক্রান্ত হয় তবে ৩-৬ সপ্তাহের মুরগি বেশি আক্রান্ত হয়,কোন কোন সময় ৬ দিন থেকে ৬ মাস বয়সের মুরগিও আক্রান্ত হয়।
তবে ১-২ সপ্তাহে কম হয়।
আক্রান্ত মুরগি সুস্থ হওয়ার পরও পায়খানার সাথে জীবানূ আসে(কয়েকদিন থেকে সপ্তাহ)
বড় মুরগি আক্রান্ত হলে মারা যায় না কিন্তু জীবানূ বহন করে।
এজেন্ট
লিটারে যে কক্সিডিয়া থাকে সেগুলো শরীরে প্রবেশ করে এন্টিবডি তৈরি করে।
পরিবেশ থেকে মুরগি সব ধরণের আমাশয়ের স্পিসিস দিয়ে আক্রান্ত হলে তার থেকে রোগ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ৫-৬ মাস লাগে কিন্তু এক্টা আক্রান্ত হয়ে ইমোমিটি তৈরি হতে ৩-৪ সপ্তাহ লাগে।(৩-৪ সাইকেল পার হতে হয়।১ম সপ্তাহে টি সেল মেডিয়েটেড ইমোনিটি ২য় ও ৩য় সপ্তাহে হিউমোরাল ইমোনিটি তৈরি হয়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে সব মুরগি এক সাথে কোন স্পিসিস দিয়েই আক্রান্ত হয় না তাই ইমোনিটি তৈরি হতে অনেক সময় লাগে।(কয়েক মাস লাগতে পারে)
ভ্যাক্সিন দিলে ১ মা সাইকেল ভ্যাক্সিন দিয়ে হয় ২য় ও ৩য় সাইকেল ফিসিস দিয়ে হয়(ফিসিসের ওসিস্ট থেকে)
আমাদের দেশে ফিল্ডে কক্সি বেশি থাকায় কোন কিছুতেই ভাল কাজ করে না তাছাড়া এন্টি কক্সিডিওস্ট্যাস্ট আয়োনোফোর আছে মাত্র ৬টি যা রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যাচ্ছে।
ওসিস্ট প্রাচীরের ভিতরে থাকে তাই কোন ডিসইনফেকটেন্টই ভাল কাজ করেনা শুধু আয়োডিন যুক্ত ডিসইনফেকটেন্ট,চুন,বায়োসিস্ট কাজ করে।তাছাড়া ফর্মালিনও ভাল কাজ করে।
আমাশয় দ্বারা অন্ত্রনালি ক্ষতি হলে সালমোনেলা এন্টেরিটাইডিস বংশ বিস্তার করে।
কক্সিডিয়ার জীবন চক্রের মেয়াদকাল ৪-৭ দিন।মুরগির জীবাণূ দিয়ে হাসের বা অন্য প্রাণির রোগ হয়না মানে স্পেসিস স্পেসিফিক।মুরগির ৭ টি প্রজাতির মধ্যে আলাদা আলাদা লোকেশন এবং রোগের ধরণ আছে।
বাংলাদেশে৪ প্রজাতি কক্সি বেশি ক্ষতিকর।
আইমেরিয়া এসারভুলিনা
আইমেরিয়া ম্যাক্সিমা
আইমেরিয়া নেকাট্রিক্স
আইমেরিয়া টেনেলা।
দেশি মুরগিতে হয় ঃ
আইমেরিয়া টেনেলা।
আইমেরিয়া নেকাট্রিক্স
টেনেলা সবচেয়ে মারাত্মক।এটি ১ দিন বয়সেও আক্রান্ত করতে পারে কিন্তু ১০-১১ দিনের আগে রোগ হতে দেখা যায়না।
টেনেলা,নেকাট্রিক্স ও ব্রূনেট্রি বেশি মারাত্মক এবং বেশি মর্টলিটি ও মর্বিডিটি হয়।
ম্যাক্সিমা ও এসারভুলিনা মাঝারি ধরণের।
ম্যাক্সিমা ও নেকাট্রিক্স ক্ষুদ্রানের মাঝে আক্রমণ করে,
ব্রুনেট্রি ক্লোয়েকায় এবং রেক্টামে,টেনেলা সিকামে,এসারভুলিনা ডিওডেনামে আক্রমণ করে।
জীবানূ খেলেই রোগ হবেনা নির্দিষ্ট মাত্রায় খেতে হবে যেমন টেনেলা ১-১৫০ টি খেলে রোগ হয়না সাবক্লিনিকেল হয়।কিন্তু ১৫০-৫০০টি খেলে মৃদু প্রকৃতির হয়,১০০০-৩০০০টি ওসিষ্ট খেলে তীব্র প্রকৃতির হয় কিন্তু মারা যায়না আবার ৩০০০-৫০০০ টি খেলে মারাত্মক হয় এবং মারা যায়।
অর্থনৈতিক ক্ষতিঃ
সারা পৃথিবীতে বছরে ৩৬০০কোটি টাকা ক্ষতি হয়। যার ৭০% সাবক্লিনিকেল
ভারতে দেখা গেছে বাণিজ্যিক ব্রয়লারে ৯৬% ক্ষতির কারণ এই কক্সি।
ওজন ৬৮% কমে যায়,এফ সি আর ২২ বেড়ে যায়।
মরটালিটি সারা পৃথিবীতে ৬-১০%।
দেশে পালিত ফার্মে ৫৪% মুরগিতে এবং দেশি ৪৯% মুরগির পায়খানায় কক্সি জীবাণু দেখা গেছে।
মুরগি এক প্রজাতি দ্বারা আক্রান্ত হলে পরে রেজিস্ট্যান্ট হয় কিন্তু অন্য প্রজাতি দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।
কক্সিডিয়া কেন এত রেজিস্ট্যান্ট হয়
এর উচ্চ প্রজনন ক্ষমতা
অনেক দিন ধরে এন্টিকক্সিডিয়াল ওষধ ব্যবহার করা
সঠিক মাত্রায় এণ্টিকক্সিডিয়াল ওষধ ব্যবহার না করা।
প্যাথোজেনেসিসঃ
আইমেরিয়া প্রজাতি নির্দিষ্ট লোকেশনে রোগ তৈরি করে যেমন
টেনেলা সিকামে
্ম্যাক্সিমা ও নে্কাট্রিক্স মিডগাটে
ব্রুনেট্রি রেক্টাম এবং ক্লোয়েকায়।
টেনেলা হলো সবচেয়ে তীব্র,কমন এটি ব্লাডি ডায়রিয়া তৈরি করে।
অল্প পরিমাণ ওসিস্ট মুরগি খেয়ে নিলে কক্সির বিরুদ্ধে ইমোনিটি তৈরী হয়।কক্সিডিওসিস তখনই হবে যখন খামারের লিটারে বিপুল পরিমাণ ওসিস্ট থাকবে এবং সেগুলো অনুকূল পরিবেশে স্পোরুলেটেড হবে।মুরগি যখন এই sporulated oocyst বিপুল পরিমাণে লিটার থেকে খেয়ে ফেলে তখনই সে রক্ত আমাশয় রোগে আক্রান্ত হয়৷
কক্সিডিয়া পরজীবীর ওসিস্ট সাধারণ পরিবেশে প্রায় একবছর টিকে থাকতে পারে৷ প্রচলিত ডি্সইনফেক্টেন্ট দ্বারাও ধ্বংস হয় না।
কিন্তু সূর্যের তাপে শুকানো হলে মারা যায়।
এই ওসিস্ট খামারে স্পোরুলেটেড হতে হবে,এটি রোগের পূর্বশর্ত।
স্যাতঁস্যাঁতে ভেজা লিটার এবং ২১-৩২ ডিগ্রি সেঃ তাপমাত্রা আর অক্সিজেন পেলেই স্পোরুলেশন শুরু হবে।
যে কোন বয়সের মুরগিই পর্যাপ্ত sporulated oocyst খেলে কক্সিডিওসিস হবে। যেহেতু বিপুল পরিমাণ ওসিস্ট হবার জন্য সময়ের প্রয়োজন তাই সাধারণত ২১ দিনের আগে খুব কম হয়।৩-৮ সপ্তাহের মধ্যে outbreak হবার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি থাকে।তবে ফিডে যদি কক্সিডিওস্টেট না থাকে বা coccidiostat অল্প সময়ের মধ্যে withdraw করা হয় অথবা যদি বাচ্চার পুস্টিমান খারাপ হয় তাহলে ২১ দিন বয়সের আগেই কক্সিডিওসিসের লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে
কক্সিডিয়ার যে ওসিস্ট রয়েছে সেটির স্পোরুলেশন হতে (হোস্টের শরীরের বাহিরে) ১-২ দিন সময় লাগে। তারপর মুরগি খেয়ে নিলো এবং জীবনচক্র সম্পন্ন করার পর ওসিস্ট পুনরায় পায়খানার সাথে বের হয়ে গেলো।
মুরগি ওসিস্ট খেলে তা গিজার্ডে ক্রাশ হয়ে স্পোরজয়েট রিলিজ হয় যেখানে প্যাঙ্ক্রিয়েটিক জুস এবং ট্রিপ্সিন সহায়তা করে।স্পোরোজয়েট ইপিথেলিয়াম টিস্যুতে যায় যা ম্যাক্রোফেজ দ্বারা গৃহীত হয় in lamina propria and transported into glands of lieberkutin.
পরে এসেক্সোয়াল সাইজন্ট শুরু হয় অন্তনালীর ইপিথেলিয়াম টিসুতে.২জেনারেশন ডেভেলপমেন্টকে সাইজোগনি বা মেরুগনি বলা হয় যা সেক্সোয়াল ফেজ শুরু করে।এতে জাইগোট তৈরি হয় ওসিস্টের ভিতরে এবং বিস্টার সাথে বের হয়।
১টা সিংগেল ওসিস্ট প্রায় ১লাখ প্রজেনি তৈরি করে।
২য় জেনারেশনের সাইজন্ট যখন রাপ্সার হয়ে মেরোজয়েট রিলিজ করে তখন ব্যাপক হারে টিস্যু ড্যামেজ করে।
হোস্টের শরীরের ভিতরে এই জীবনচক্র সম্পন্ন করতে তার সময় লাগে ৪-৭ দিন (প্রজাতি ভেদে পার্থক্য হয়).
মুরগির লিটারে একটি ওসিস্ট বেশিদিন টিকতে পারে না লিটারের তাপ আর এমোনিয়া গ্যাসের কারণে কিন্তু মুরগি ঘন অবস্থায় থাকলে পায়খানা থেকে দ্রুত খেয়ে ফেলে এবং রোগাক্রান্ত হয়।
১টি স্পোরোলেটেড ওসিস্ট এর ভিতর ৪টি স্প্রোরোসিস্ট থাকে। ১টি ওসিস্টের ভিতরে ২টি করে স্পোরোজয়েটস থাকে।
একটি oocyst মুরগির অন্ত্রে গিয়ে প্রথমে excystation প্রক্রিয়ায় ২ ধাপে ৮টি sporozoites তৈরি করে।
এদের ১ম কাজ হল Gut cell এর ভিতরে আক্রমণ করে,সেখানে টপোজয়েট হয়,তারপর সাইজন্ট হয়,পরে schizont এ শুরু হয় asexual reproduction.সংখ্যায় বাড়তেই থাকে exponential rate এ।পরে সাইজন্ট ভেঙ্গে মেরোজয়েটস গুলো বের হয়।
এরা আবারো Gut cell কে আক্রমণ করে,না হয় নিজেরা আরো পরিণত হয়ে male এবং female gametes তৈরি করে।
তারপর দুই ধরনের গ্যামেট সংযুক্ত হয়ে আবারো oocyst তৈরী করে। জীবাণুর sexual reproduction এর এই ধাপটি মুরগীর Cecum এ ঘটে। নতুন তৈরী হওয়া বিপুল পরিমাণ oocyst মুরগির পায়খানার সাথে বের হয়ে যায়।মুরগির একটি মাত্র খেয়ে ফেলা sporulated oocyst সংখ্যাবৃদ্ধি করে এভাবে লক্ষ লক্ষ oocyst তৈরী করতে পারে।
কক্সিডিয়ার জীবাণু asexual reproduction এর সময় intestine এর যেসব cell এ ঢুকে তার সবগুলোই ড্যামেজ করে ফেলে। এর ফলে পরবর্তীতে secondary intestinal disease তৈরীর পথ সুগম হয়,যেমন Necrotic Enteritis.
জীবাণুর লাইফ সাইকেল সম্পন্ন হতে চার থেকে সাতদিন সময় লাগে। মুরগির শরীরে ইনজেস্ট হবার তিন দিনের মাথায় রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়৷ চতুর্থ দিন থেকে শুরু হবে রক্ত পায়খানা,পঞ্চম এবং ষষ্ঠ দিনে সবথেকে বেশি ব্লিডিং হয়।
আট বা নয়দিন পর মুরগি হয় মারা যাবে অথবা ভাল করবে।মারা যাবার মূল কারণ ব্লাড লস এবং ডিহাইড্রেশন যদি সিকাল কক্সিডিওসিস হয় তাহলে সিকামে blood, tissue debris এবং oocyst জমাট বাঁধে যেটাকে cecal core বলা হয়৷
এটি ইনফেকশনের ৯ বা১০ তম দিনে খসে যায় এবং পায়খানার সাথে মরা রক্ত হিসেবে বের হয়ে আসে।যদি রিটেনশন হয়ে দীর্ঘদিন থাকে তাহলে মুরগির ক্রনিক সমস্যা দেখা দেয় ।মুরগির শরীর dehydrated হয়ে যাবার কারণে cecal core আটকে পড়ে।
লক্ষণঃ
পালক উসকো খুসকো ও নিচের দিকে ঝুলে পড়ে।আক্রান্ত হওয়ার ৩-৪ দিন পর লক্ষণ দেখা যায় এবং ৪-৫দিন পর ব্লিডিং হয় ৭-৯দিনে মারা যায় বা ভাল হয়।।হঠাত করে খাদ্য ও পানি কমে যায়।
একিউটে মারা গেলে মর্টালিটি বেশি হয়।যখন ক্লিনিকেল পর্যায়ে চলে আসে মানে টিস্যু ড্যামেজ হলে তখন বুঝা যায়।আগে বুঝা যায় না।২-৩ জেনারেশ্ন সাইজোগনি হলেই লক্ষণ বুঝা যাবে।
আঠাযুক্ত চোখের পাতা ও চলনে অসংগতি দেখা যায়।
এক জায়গায় বসে মাথা নীচের দিকে ঝুলিয়ে চোখ বন্ধ করে ঝিমায়।
রক্ত,পানি ও মিউকাস মিশ্রিত পায়খানা করে এবং পানি কম খায়,শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায় ফলে ডিহাইড্রেটেট হয়।
শুকিয়ে যায় ও এনিমিয়া হয়।
আইমেরিয়া প্রজাতি পোস্ট মর্টেম লক্ষণ মৃত্যহার
টেনেলা শুরুতে অন্ত্রনালির মধ্যে রক্তকক্ষরণ
টেনেলা অন্ত্রনালির আবরণ পুরু,সাদাটে এবং জমাট বাধা রক্ত রক্ত ও মিউকাসযুক্ত পানির মত ৩০%
টেনেলা পায়খানা,কাপুনি,ওজন কম
নিকাট্রিক্স ক্ষুদ্রান্ত্র প্রসারিত,প্রাচীরে সাদা বিন্দু ও রক্ত ক্ষরণ অনেক দিন ধরে অসুস্থ,পানিশুন্যতা বাচ্চা অবস্থায়
নিকাট্রিক্স Mucous & bloody exudate পাখা ঝোলানো,পিছন দিকে বাকানো বেশি
এসারভুলিনা হালকাঃডিওডেনামের প্রাচীরে ওসিষ্ট গুলো আড়াআড়িভাবে,পায়খানায় মিউকাস আসে,ওজন বাড়েনা কম
এসাভুলিনা মালার মত থাকে।তীব্র প্রকৃতিরঃপুরু প্রচীরে প্লাগ থাকে।
ব্রুনে্ট্রি অন্ত্রনালির কোষ গুলো মরে জমাট বেধে যায়, পায়খানায় মিউকাস বের হয় মধ্যম,১০%
ব্রুনেট্রি বৃহদন্ত্রে প্রদাহের কা্রণে মিউকাসযুক্ত রক্ত বের হয়
ম্যাক্সিমা ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রাচীর পুরু এবং বিন্দু বিন্দু রক্ত পায়খানায় লাল বাদামি মিউকাস,ওজন কম
ম্যাক্সিমা শুকিয়ে যায়,কম খায় মধ্যম
ballowing of intestine and lumen filled with blood.
পার্থক্যঃ
ব্ল্যাকহেড হলে সিকামে
সালমোনেলা সিকামে
নেক্রোটিক এন্টারাইটিস (ক্ষুদ্রান্ত্রে বা ইলিয়ামে)
প্যাপিলারিয়াসিস (ক্ষুদ্রান্তে)
লবনের বিষ্ক্রিয়া(ক্ষুদ্রান্তে)
মাইকোটক্সিকোসিস(ক্ষুদ্রান্তে)
গাম্বোরু,কলিএন্টারাইটিস,আফ্লাটক্সিকোসিস,রানিক্ষেত,মেরেক্স্,ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামের অভাব,অনেক দিন ক্ষতিকর সালফার জাতীয় ঔষধ খাওয়ালে,এডিনোভাইরাস(এভিয়ান এনসেফালোমায়েলাইটিস,এভিয়ান লিম্ফোমেটোসিস) এসব কারণেও রক্ত পায়খানা হতে পারে।
##আমাশয় রোগ হওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ এবং পরিস্থিতি সমূহঃ##
ভিরুলেন্সিঃ
শক্তিশালী কক্সিডিয়ার প্রজাতি এবং রেজিষ্টেন্ট স্ট্রেইন দ্বারা আক্রমণ।
মুরগির নিজস্ব রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা।
রোগ হওয়ার জন্য পরিমান মত ওসিষ্ট মুরগি কর্তৃক গ্রহণ।
বায়োসিকিউরিটি
ফার্মের সার্বিক ব্যবস্থাপনা,পরিবেশ এবং ফার্মের স্যাতস্যাতে অবস্থা,কক্সিডিয়ার ওসিষ্ট বহনের পরিবেশ।
খাবার
ফিডমিলের ত্রুটি,মু্রগির ,খাদ্যের মান এবং পুষ্টির পরিমান।
খাদ্যে পরিমাণ মত এবং মান সম্পন্ন কক্সিডিওষ্ট্যাট ব্যবহার।
খাদ্যে আফ্লাটক্সিন থাকলে কক্সিডিওসাইড ও কক্সিডিওষ্ট্যাটের কার্যকারিতা কমে যায়,সাবক্লিনিকেল আমাশয় বৃদ্ধি পায় এবং এফ সি আর কমে যায় ।
রোগ ব্যাধিঃ
বিভিন্ন রোগ যেমন ই-কলাই,গামবোরু,সালমোনেলা,মেরেক্স,ডায়রিয়াযুক্ত রোগ এবং খাদ্যে মাইকোটক্সিন।
ব্যবস্থাপনাঃ
মুরগির আবাসস্থল ফ্লোর বা স্লট।পানির প্রয়োগ ব্যবস্থা
সময়/বয়সঃ
আমাশয় হতে হলে ওসিষ্টের পরিমান বাড়াতে হবে তাই ৩-৪ বার কক্সিডিয়ার জীবন চক্র সম্পন্ন করতে হবে।
৩-৬সপ্তাহে বেশিহয়।
খাদ্য উপাদানঃ
গমের বদলে ভুট্রা এবং এনজাইম খাওয়ালে আমাশয় কম হয়।
শর্করা ৫০% বেশি হলে আন্ত্রিক ফ্লোরার বৃদ্ধি কমে যায় কিন্তু ওস্টিটের বৃদ্ধি বেড়ে যায়।
আমিষ বেশি দিলে আমাশয়ের লক্ষণ বেশি দেখা যায় কিন্তু ওজন ভাল থাকে।
মাঝারী চেইন যুক্ত ফ্যাটি এসিড(নারকেল তেল) লম্বা চেইনযুক্ত ফ্যাটি এসিড(প্রাণিজ ফ্যাট) অপেক্ষা ভাল কাজ করে
ভিটামিন মিনারেলসঃ
ভিটামিন এ,কে এবং সেলেনিয়াম খাদ্যে কম থাকলে এবং ভিটামিন বি৬,ই এবং প্যারাএমাইনোবেনজিক এসিড বেশি থাকলে আমাশয় বেশি হয়।
ক্যালসিয়াম ২% বা এর বেশি হলে কক্সি বেড়ে যায় কারণ এটি ট্রিপসিনকে সক্রিয় করে যা ওস্টিট বৃদ্ধি করে।
কপার,জিংক দেয়া ভাল
মিক্স ইনফেকশনঃ
আমাশয়ের সাথে ই- কলাই এবং ক্লস্টিডিয়াম থাকলে মৃত্যহার ৬০% পর্যন্ত হয়।
মেরেক্স থাকলে আমাশয়ের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরিতে বাধা দেয়।
গাম্বোরু বা আমাশয় একটা হলে আরেকটা হবার সম্বাবনা থাকে,আমাশয় এবং আফ্লাটক্সিকোসিস এক সাথে হলে আমাশয় ৩গুন বেড়ে যায় আর আইমেরিয়া টেনেলার ক্ষেত্রে ৬ গুন বেড়ে যায়।
ম্যাটার্নাল এন্টিবডিঃ
পিতা মাতা আমাশয়ে আক্রান্ত থাকলে পিতা মাতা হতে প্রাপ্ত এন্টিবডি বাচ্চাতে আসেনা।আবার বাচ্চা আ্মাশয়ে আক্রান্ত হলে পিতা মাতা হতে প্রাপ্ত এন্টিবডি দ্রুত কমে যায়।
চিকিৎসাঃ
সালফাক্লোজিন বা টল্টাজুরিল বা এমপ্রোলিয়াম ৫-৭ দিন চালানো উচিত কারণ তাদের লাইফ সাইকেল শেষ করতে ৪-৭ দিন লাগে,মাঝে ১-২দিন গ্যাপ দিতে পারেন।
এটি একটি সেলফ লিমিটেড রোগ মানে সকল ওস্টিটের বংশ বৃদ্ধি হলে এমনিই ভাল হয়ে যায়।
ভিটামিন এ, কে দিলে মর্টালিটি কম হয় এবং তাড়াতাড়ি ভাল হয়।
##প্রতিরোধ এবং দমন##
১।উপযুক্ত পরিবেশের ব্যবস্থা
বয়স্ক এবং বাচ্চা মুরগি আলাদা ভাবে পালা।
অল্প ওসিস্ট থাকলে পাখি খেয়ে নিলে ইমোনিটি তৈরি হয়।
লিটার সব সময় শুকনা রাখা,খাদ্য এবং পানির পাত্র পিঠ ও চোখ বরাবর রাখা।
পানির পাত্রের নিচে পানি পড়ে লিটার ভিজে যায় যা কমন সমস্যা।
টিনের বাড়তি অংশ প্রায় সব ফার্মেই ২ ফুটের কম এতে বৃস্টির পানি ভিতরে ঢুকে লিটার ভিজে যায়।টিনের ছাউনির বাড়তি অংশ ৩ ফুট হওয়া উচিত।
বাহিরের জীবানূ যাতে ভিতরে না যায়,মোট কথা বায়োসিকিউরিটি মেনে চলা।
বর্ষাকালে লিটারে লাইম পাঊডার দেয়া উচিত।
লিটারের খরচের টাকা বাচাতে গিয়ে অনেকে নতুন/শুকনা লিটার দেয় না।ভাবে আর কয়েকদিন পর ত খাচায় উঠিয়ে দিবো ।এভাবে দেখতে দেখতে আমাশয় চলে আসে।
ইদুর,মাইস,ক্যারিয়ার।আর্থ ওয়ার্ম,ফ্লি,তেলাপোকা
বিভিন্ন বয়সের মুরগি এক সাথে পালন না করা
মুরগি যদি ইউনিফর্মনা হয় তাহলে সব মুরগি এক সাথে আক্রান্ত হয় না ফলে অনেক দিন ধরে কক্সির সমস্যা থেকে যায়।
কোন কারণ মুরগি অসুস্থ হলে খাবার কম খায় ফলে কম কক্সিডিওস্ট্যাট খায়।এতে আমাশয় হবার সুযোগ থাকে।।
পানির পাত্র থেকে যাতে পানি পড়ে লিটার না ভিজে।
ব্রয়লার ফিডে ১মদিন থেকেই এন্টিকক্সিডিওসিস্ট ব্যবহার করে যাতে সাইজোগনি হতে না পারে।
ফিড যদি ভাল মানের না হয়।
সেডের ভিতরে আলাদা জুতা থাকা উচিত।বাহিরের জুতা নিয়ে ভিতরে গেলে আমাশয় হতে পারে।
লিটার উল্টানোর পরে খাবার ও পানি দিতে হবে। খাবার ও পানি দেয়ার পরে লিটার উল্টানো হলে খাবার ও পানিতে লিটার গিয়ে কক্সি হতে পারে।
এন্টারাইটাইস হয়ে যাতে লিটার না ভিজে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
পুরান লিটারের সাথে নতুন লিটার মিক্স করে ছড়িয়ে দিতে হবে।
ভাল করে জীবনূমুক্ত করে বাচ্চা নিতে হবে।
ইদুর,তেলাপোকা,মাছি,আর্থওয়াম যাতে না থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
২।কক্সিডিওষ্টেট দ্বারা রোগ প্রতিরোধঃ
খাদ্যের সাথে দেয়া হয়,যেমন ডাইক্লাজুরিল,সেলিনোমাইসিন,নারাসিন,মনেনসিন,মাদুরামাইসিন।এগুলো বারবার এবং এক নাগারে ব্যবহার করলে রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যায় তাই রোটেশন বা সাটল প্রোগ্রাম মেনে চলা হয়।
ক।রোটেশনঃএক্ষেত্রে ৩মাস,৬মাস বা বাৎসরিক অন্তর ওষধ পালাক্রমে পরিবর্তন করা হয়।এটা মূলত কক্সিডিওসিস এর চ্যালেঞ্জ,মৌসুমি রোগের প্রভাব এবং খামারগুলোর ব্যবস্থাপনা ও মুরগির ঘনত্বের উপর নির্ভর করে।বছরকে ৪টা ভাগে ভাগ করে কক্সিডিওস্ট্যাস্ট দেয়া হয়।
ফিডের টাইপের উপর নির্ভর করে না।
১ম থেকে ৩য় মাসে কেমিকেল(সিন্থেটিক) ও আয়োনোফর,৪থ -৬ম মাসে আয়োনোফর,৭-৯ মাসে কেমিকেল এবং আয়োনোফর,১০-১২ তম মাসে আয়োনোফর।
খ।শাটল প্রোগ্রামঃ
মুরগির বয়সের উপর ভিত্তি করে দেয়া হয়।
একই ফ্লকে দুটি ভিন্ন ধরনের কক্সিডিওস্টেট ব্যবহার করা হয় যেমন স্টাটার এবং গ্রোয়ার দুটি হলে স্টাটারে কেমিকেল এবং গ্রোয়ারে আয়োনোফর
৩ টি ধাপ হলে স্টাটারে কেমিকেল,গ্রোয়ারে আয়োনোফর,ফিনিশারে কেমিকেল।
#১ম সিন্থেটিক তারপর আয়োনোফর
১ম আয়োনোফোর তারপর সিন্থেটিক
আয়োনোফোর X আয়োনোফোর Y
# সিন্থেটিক X সিন্থেটিক Y
গ।সরসরি বা সম্পূর্ণ (Straight or Full)
এতে একটি এন্টিকক্সিডিয়াল ব্যবহার করা হয়।এতে রেজিস্ট্যান্ট বেশি হয়।
ঘঃ টিকা
৩ধরণের হয়
কিল্ড ব্রিডারে দেয়া হয় যাতে বাচ্চাতে এন্টিবডি আসে।
লাইভ ননএটিনয়েট,এতে ডিজব্যক্টেরিওসিস ও এন্টারাইটিস হয়।
লাইভ এটিনয়েটেড,ডিজব্যাক্টেরিওসিস হয়।(Coccivac D,Livacox Q)
১-৪দিন বয়সে দেয়া হয়(৫-৯ দিনেও দেয়া যায় কোম্পানীর সিডিউল অনুযায়ী),পানিতে বা স্প্রে বা মুখে ফোটা বা জেল ড্রপ লেট।
৪-৭দিন পর ওস্টিট বের হয়ে আসে,বাচ্চা এটা আবার খায় ফলে ব্রুস্টার হয়ে যায়.২ সপ্তাহ পর টাইটার উঠে।
টিকার পর ব্যবস্থাপনা
টিকা দেয়ার পর এম্প্রোলিয়াম দেয়া যাবেনা।
২-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত লিটারের আর্দ্রতা ২৫% এর মধ্যে রাখতে হবে।
সব পুরাতন লিটার সরানো যাবে না,নতুন লিটারের উপর পুরাতন লিটার ছড়িয়ে দিতে হবে।
৪ সপ্তাহ পর্যন্ত সি টি সি,অক্সিট্রেট্রাসাইক্লিন,সালফার ড্রাগ দেয়া যাবেনা।
কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে কক্সিডিওস্ট্যাস্ট কে ২ভাগে ভাগ করা হয়েছে
কেমিকেলঃ( সিন্থেটিকঃ)এরা কক্সির বিপাক ক্রিয়ার উপর কাজ করে।
নিকারবাজিন(Nibatrix)
রবেনিডিনCycostat 6,6,robimpex)
এম্প্রোলিয়াম।
কপিডল(Clopix,Zamidol250)
ডিকোকোনেট(Decony)
ডাইক্লাজুরিল(CMP,Clinacox .5)
আয়োনোফোরঃকাজের ধরণ অনুযায়ী ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছ।
কক্সিডিয়ার অসমোটিক ব্যালেন্সকে নষ্ট করে কক্সিকে মেরে ফেলে,
মনোভ্যালেন্ট :
মনেনসিন,(Elancoban 200,Monsigran G200)(এটি streptomyces cinnmonensis থেকে তৈরি করা হয়েছে।
১ম এন্টি কক্সিডিয়াল ড্রাগ,১৯৭১ সালে আবিস্কার হয়।
এটি এক্সাসেলোলার স্পোরোজয়েটস,মেরোজ্যেটস,ট্রপোজ্যেটস ও সাইজন্টের বিরুদ্ধে কাজ করে।
এরা সোডিয়াম ও পটাসিয়াম চ্যানেলের উপর কাজ করে।
টিয়ামোলিন পোল্ট্রিতে মনেনসিনের মেটাবলিজম ও এক্সক্রিয়েশনে(Excretion) বাধা দেয়.
অভার ডোজ হলে
খাবারের রুচি কমে যায়,পায়ে সমস্যা হয়,(lateral recumbency and ataxia).
এটি নেক্রোটিক এন্টারাইটিস করতে পারে ইন্টেস্টাইনের মটিলিটি কমিয়ে।
এটি ঘোড়া ও টার্কির ক্ষেত্রে টক্সিসিটি শো করে।
পোল্ট্রিতে ১-৪৫ দিন পর্যন্ত দেয়া হয়।
নারাসিন(Montiban45)
এটি streptomyces aureofaciens থেকে নেয়া হয়েছে।
ডোজ ৫০-৬০ এম জি /কেজি
এটি নেক্রোটিক এন্টারাইটিস প্রতিরোধ করে।
অভার ডোজ ( ১২৫ এম জি/কেজি)হলে congestive heart failure and cardiac muscle deformities করে।
তাছাড়া বাচ্চাতে প্যারালাইসিস হতে পারে।
টার্কিতে ৮০এম জি/কেজির বেশি হলে মর্টালিটি ১৫-২০% হতে পারে।
ঘোড়ার ক্ষেত্রে ও বিপদজনক।
লেয়িং লেয়ারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আয়নিক এক্সচেঞ্জের ফলে হরমোনাল ব্যালেন্স নস্ট হয়ে যায়।তাই লেয়ারে দেয়া যাবে না।
সেলিনোমাইসিনঃSacox,zamstat 120)
ডোজ ৪-৬৬এম জি/কেজি।
পিলেট বাইন্ডার বেন্টোনাইটের সাথে দেয়া যাবে না কারণ এটি পোল্ট্রিতে টক্সিসিটি করে।
টিয়ামোনিলের সাথে দিলে ওজন কম আসে।
টার্কিতে ১৫০এম জি/কেজি বডি ওয়েটের বেশি দিলে টক্সিসিটি শো করে।
মনোভ্যালেন্ট গ্লাইকোসাইড( মাদুরামাইসিন(madurax,madimex g10)
এটি actinomadura yumaense থেকে তৈরি করা হয়েছে।
এতে ৯০% এমোনিয়ামের লবণ থাকে।
ডিমের উপর এর কোন প্রভাব নেয়।
ওভার ডোজ হলে ওজন কম আসে।
টার্কিতে ১২ সপ্তাহ।পুলেটে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দেয়া যায়।
ডোজ ৫এম জি/কেজি।
ডাইভ্যালেন্ট ল্যসালোসিড(Avatec15%)
এটি Streptomyces lasaliensis থেকে নেয়া হয়েছে।
ডোজ ৭৫-১২৫ গ্রাম /টন
ডোজ বেশি দিলে পানি বেশি খাবে ও লিটার নষ্ট হবে।
এদের ক্রস রেজিস্ট্যান্ট কম হয় কারণ মনো Na,K এর কাজ করে’
Divalant Ba++ এর উপর কাজ করে।
১৯৫০ সালে আয়োনোফোর আবিস্কার হয় ,১৯৬০ সালে এন্টিক্সিডিয়াল হিসেবে ব্যবহার হয় এবং ১৯৮৭ সালের দিকে রেজিস্ট্যান্ট হতে থাকে।
এদের মধ্যে ক্রস প্রটেকশন খুব বেশি।
এগুলো টিয়ামোলিন,ক্লোরাম্ফেনিকল,ম্যাক্রোলয়েডস ও সালফোনেমাইডের সাথে ব্যবহার করা ঠিক না।
কেমিকেল ও আয়োনোফোর এর মিশ্রণ
মাদুরামাইসিন ও নিকারবাজিন(গ্রমাক্স,নিমাক্স)
ক্লোপিডল ও মিথাইল বেনজোয়েট(Lerbek)
নারাসিন ও নাইকারবাজিন(maxiban)
মনেন্সিন ও নাইকারবাজিন(monimax)
মাদুরামাইসিন ও নিকারবাজিন(aviax plus)
###
ক্লোপিডল এনার্জি মেটাবলিজমে বাধা দেয়।
আয়োনোফর এরেস্ট বা কিল্ড স্পোরোজিয়েট বা আর্লি টপোজয়েট।
টল্টাজোরিল সব গুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে।
সালফোনেমাইড এসারভোলিনামের বিরুদ্ধে কাজ করে।
কক্সিডিওসিস কন্টোলঃটিপস
১।কেমিকেল (ডাইক্লাজুরিল,ক্লপিডল বা রবেনিডিন )স্টাটার ফিডে
মনেন্সিন,সেলিনোমাইসি বা মাদুরামাইসিন ফিনিশার ফিডে।
২।ডাইক্লাজুরিল ২ ব্যাচে আর রবেনিডিন ২ ব্যাচে।
৩।ভ্যাক্সিন ২ ব্যাচে
৪।কেমিকেল স্টাটার,মনোব্যালেন্ট আয়োনোফোর মনেন্সিন,সেলিনোমাইসিন বাই ব্যালেন্ট(লাসালোসিড)
৫। কক্সি ভ্যাক্সিন ও কক্সিডিওস্ট্যাস্ট।
নাইকারবাজিন সামার সিজেন দেয়া হয়না কারণ এটি মেটবলিক টক্সিসিটি করে।
মাদুরামাইসিন ভিটামিন এ ডেফিসিন্সী করে এবং পানির চাহিদা বেড়ে যায়,ক্রনিক টক্সিসিটি করে।
সেলিনোমাইসিন এ এফ সি আর বেড়ে যায়।
কেমিকেল হলো সেন্থেটিক ড্রাগ এবং স্পো্রুজ্যেটের ইন্টাসেলোলারে কাজ করে।
আয়োনোফোর আয়রন ও সোডিয়ামের ট্রান্সপোটে বাধা দেয়।
৩০% আর্দ্রতা আর ২৫ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রা কক্সিডিয়ার জন্য উপযুক্ত।।
কক্সির জন্য রসুন ও এলাম ব্যবহার করা ভাল।
এম্পোলিয়াম অনেকটা রেজিস্ট্যান্ট হয়ে গেছে তাছাড়া বেশি দিন ব্যবহার করলে বি১ এর ঘাটতি হয়।
রবিনিডিন লেয়ারের জন্য ১০ সপ্তাহ পযন্ত ভাল।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১২অক্টোবর২০