মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় ভাইরাসের আক্রমণ। মানুষের অতিপরিচিত ভাইরাস জনিত রোগ এইডস। ঠিক মুরগিরও এরকম একটি রোগ রয়েছে যাকে বলে গামবোরো। এই রোগে আক্রান্ত মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শূন্যে পৌঁছে। ফলে মুরগি মারা যায়। আসুন জেনে নিই মুরগির এইডস গামবোরো রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি। লিখেছেন মো. আব্দুর রহমান।
গামবোরো একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এ রোগে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে ব্রয়লার, কক, সোনালী ও লেয়ার মুরগি মারা যায়। তাই এ রোগের মুরগির মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্ত ফ্লক ইম্যুনোসাপ্রেশনে ভোগে। আর তাই এ রোগকে মুরগির এইডস বলা হয়। আর এ ধরনের ফ্লক থেকে কখনই আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায় না।
রোগের লক্ষণ
গামবোরো রোগের কিছু কমন লক্ষণ হলো পানি না খাওয়া, খাদ্য না খাওয়া, পাতলা পায়খানা হওয়া ইত্যাদি।
চিকিৎসা ও প্রতিকার
এন্টিবায়োটিক হিসেবে সিপ্রোফ্লক্সাসিন ১০% ব্যবহার করা যায়। এটি রক্তে তাড়াতাড়ি মিশে আর শরীরে থাকেও দীর্ঘক্ষণ। ফলে দ্রুত কাজ শুরু হয়ে যায়। ১ লিটার পানিতে ১ মিলি পরপর ৩-৫ দিন সবসময়ের জন্য পানিতে দিতে হবে। যে কোনো ভালো অর্গানিক এসিড কোম্পানি নির্দেশিত মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে। অর্গানিক অ্যাসিডগুলো কিডনি হতে ইউরেট দূর করতে সহায়তা করে। এ ক্ষেত্রে ভিনেগার ব্যবহার করা যায়।
বি দ্র: দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মুরগির এইডস রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি লিখেছেন মো. আব্দুর রহমান শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০২সেপ্টেম্বর২০