দেশি মুরগি পালনে টিকা দেয়া আবশ্যক। তবে হাইব্রিড মুরগির তুলনায় দেশি মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকার কারণে অনেক সময় মুরগির বিভিন্ন ভ্যাকসিন এ পরিবর্তন আনা যাতে পারে। অনেকের মতে দেশি মুরগিকে কোন টিকা দেয়ার প্রয়োজন নেই। তবে রোগ থেকে মুক্ত থাকতে ভ্যাকসিন সবচেয়ে কার্যকার পন্থা।
দেশি মুরগির টিকা সিডিউল
বয়স (দিন) রোগের নাম ভ্যাকসিনের নাম ভ্যাকসিনের প্রকৃতি প্রয়োগ পদ্ধতি
৩-৫ রানীক্ষেত ও ব্রংকাইটিস আইবি+এনডি লাইভ এক চোখে এক ফোঁটা
১০-১২ গামবোরো আই বি ডি লাইভ মুখে এক ফোঁটা
১৮-২২ গামবোরো আই বি ডি লাইভ খাবার পানিতে
২৪-২৬ রানীক্ষেত এনডি লাইভ এক চোখে এক ফোঁটা
৩৫-৪০ ফাউল পক্স ফাউল পক্স ডি এন এ লাইভ ডানায়সূচ ফুটানোর মাধ্যমে
৬০-৬৫ রানীক্ষেত এনডি-কিল্ড কিল্ড ঘাড়ের চামড়ার নিচে ইনজেকশন
৭০-৭৫ ফাউল কলেরা ফাউল কলেরা কিল্ড ঘাড়ের চামড়ার নিচে ইনজেকশন
দেশি মুরগির টীকা প্রদান সিডিউল
যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে
৬মাস পর পর রানীক্ষেত কিল্ড করা উচিত। একমাস পর ফাউল কলেরার বুস্টার ডোজ করতে হবে। ভ্যাকসিনের আগে পরে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার না করাই উত্তম। তবে ভ্যাকসিনের পরে ভিটামিন সি দেয়া ভালো।
৩৫ দিন বয়সে সোনালি মুরগির কৃমিনাষক ঔষধ দেয়া দরকার। কৃমি হলে সাধারণত ভ্যাক্সিন বা ঔষধের কার্যকারিতা কমে যায়। অবশ্যই স্থান ভেদে ভ্যাকসিন সিডিউল পরিবর্তন করা যেতে পারে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ০৭ নভেম্বর, ২০২২