মুরগির খামারে মারাত্মক সকল রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে খামারিদের যেসব বিষয় লক্ষ্য রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ 

100

আমাদের দেশে বিপুল সংখ্যক মুরগির খামার রয়েছে যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণ করে থাকে। মুরগির খামারে উৎপাদনের বাঁধা সৃষ্টি হওয়ার অন্যতম কারণ হল মুরগির খামারের বিভিন্ন প্রকার রোগ। তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে মুরগির খামারে রোগের প্রাদুর্ভাব অনেকাংশে কমানো সম্ভব। আসুন আজ তাহলে জেনে নেই মুরগির খামারে রোগের প্রাদুর্ভাব কমানোর কৌশল সম্পর্কে-

মুরগির খামারে রোগের প্রাদুর্ভাব কমানোর কৌশলঃমুরগির খামারে মারাত্মক সব রোগের প্রাদুর্ভাব কমানোর কিছু কৌশল নিচে তুলে ধরা হল-

১। মুরগির খামারে রোগের প্রাদুর্ভাব কমানের জন্য খামারে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করতে হবে। বাইরে থেকে যে কেউ এসে যাতে মুরগির খামারে সরাসরি প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। যদি কাউকে মুরগির খামারের ভিতরে প্রবেশ করাতেই হয় তাহলে যথাযথ উপায়ে জীবাণুমুক্ত করে তারপর তাকে খামারের ভিতরে প্রবেশ করাতে হবে। আর তা না করা হলে মুরগির খামারে ঐ ব্যক্তির মাধ্যমে জীবাণু প্রবেশ করার আশংকা থাকে।

২। মুরগির খামারে রোগের প্রাদুর্ভাব কমানোর জন্য খামারের মুরগিগুলোকে নিয়মিত ভিটামিন ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রদান করতে হবে। মুরগির শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ হলে মুরগি সাধারণ রোগ প্রতিরোধে সক্ষম হয়। আর এর ফলে অনেক রোগের হাত থেকে মুরগি রক্ষা পেয়ে থাকে।

৩। মুরগির খাদ্য প্রদানের পাত্রগুলোকে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। নিয়মিত খাবারের পাত্রগুলো পরিষ্কার করলে সেখান থেকে রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে যায়। আবার মুরগির খাবার পাত্রের আশপাশে কোন খাদ্য যাতে পড়ে না থাকে সেদিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে।

৪। মুরগির খামারে রোগ কমাতে কিছুদিন পর পর মুরগির লিটারগুলি পরিষ্কার করে দিয়ে সম্পূর্ণ খামার জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করে দিতে হবে। এর ফলে খামারে সহজেই কোন রোগ বিস্তার লাভ করতে পারবে না।

৫। মুরগির খামারে রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে হলে খামারে প্রয়োজনীয় আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। খামারে আলো ও বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা থাকলে খামারে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ থেকে রক্ষা পাবে ফলে মুরগির খামারে রোগের প্রাদুর্ভাবও অনেক কমে যাবে।

৬। খামারে মুরগির রোগের প্রাদুর্ভাব কমানোর জন্য মুরগির মারাত্মক সব রোগের টিকা সময়মতো প্রদান করতে হবে। আর তাতে মুরগির খামারে রোগের প্রাদুর্ভাব অনেকটাই কমে আসবে।