মুরগির খামারে রোগ কমাতে জৈব নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনায় খামারিদের যেসব কাজ করতে হবে সেগুলো ভালোভাবে জেনে রাখতে হবে। লাভজনক হওয়ার কারণে আমাদের দেশের অনেকেই মুরগি পালনকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। তবে খামারে লাভবান হওয়ার জন্য সঠিকভাবে জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। চলুন জেনে নেই মুরগির খামারে রোগ কমাতে জৈব নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে-
বাচ্চা পরিবহনেঃ
বাচ্চা পরিবহন করার জন্য সে খাঁচা ব্যবহার করবেন সেগুলা আগে থেকেই ভাল করে জীবাণুনাশক মিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে তারপরে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
সম্ভব হলে যে পরিবহনে সে স্থানে করে নিয়ে আসবেন সেখানে ও জীবাণুনাশক স্প্রে করে নিন।
বাচ্চা ছাড়ার আগে ঘর জীবানুমুক্তকরণঃ
খামারে বাচ্চা আনার আগে খামার টি ভালকরে ডিটারজেন্ট বা জীবানুনাশক মিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে ভাল করে শুকিয়ে তারপরে বাচ্চা আনতে হবে।
ঘরের মেঝেতে ব্যবহৃত লিটারের উপরে জীবাণুনাশক স্প্রে করে নিতে হবে।
দর্শণার্থী প্রবেশঃ
খামারে বিনা প্রয়োজনে বাইরের কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া উচিত না।এতে যেকোনো সময় জীবাণুর আক্রমন হতে পারে।অনেক সময় ভদ্রতার খাতিরে আমরা বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনদের খামারে ঢুকতে দেই।কিন্তু এটা খামারের জৈব-নিরাপত্তার ক্ষেত্রে করা উচিত নয়।
যদি বিশেষ কাউকে ঢুকতে দিতে হয় তবে ঢোকার আগে অবশ্যই তাকে ভালভাবে জীবাণু নাশক স্প্রে করে নিতে হবে।ফুটবাথে পা ডুবিয়ে তারপরে খামারে ঢুকাতে হবে।
বেশি ভাল হয় যদি খামারে কাজ করার জন্য আলাদা পোশাক থাকে।যখন কেউ খামারে প্রবেশ করবে তখন সেই পোশাক পড়ে প্রবেশ করবে।এবং এই পোশাক গুলা নিয়মিত জীবানুমুক্ত রাখতে হবে।
খাবার ও পানির পাত্রঃ
বাচ্চা আনার আগেই খাবার ও পানির পাত্র গুলা জীবানুনাশক মিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
এরপরে পাত্র গুলা ভাল করে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
সব সময় করণীয়ঃ
পরিস্কার ও জিবাণুমুক্ত পানি সরবারাহ করতে হবে।
প্রতি ২-৩ দিন অন্তর অন্তর খামারের চারিপাশে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে।
প্রতি সপ্তাহে প্রয়োজনে একাধিক বার লিটারের উপরের ময়লা পরিস্কার করা উচিত।
প্রতিদিন খামারের খাবার ও পানির পাত্র পরিস্কার করতে হবে।
পাত্রের তলায় পড়ে থাকা ময়লাযুক্ত খাবার সরিয়ে নিতে হবে।
যেসকল জীবাণুনাশক গুলা পাখির ক্ষতি করে না এমন জীবাণুনাশক দিয়ে খামারের ভিতরে ও মাঝে মাঝে স্প্রে করা ভাল।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১০মে ২০২২