রোগ প্রতিরোধে ফুটবাথ
খামার বায়োসিকিউরিটির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে ফুটবাথ বা পায়ের গোসল। বাহিরে থেকে পায়ের মাধ্যমে আসা সব জীবাণু খামার অভ্যন্তরে ঢুকা প্রতিরোধ করবে এটা। সাধারনত আমাদের খামারী ভাইগন স্প্রে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু স্প্রের মাধ্যমে শরীরের উপরের অংশে কিছু কাজ হলেও মাটির সরাসরি সংস্পর্শে থাকা পায়ের জীবানু থেকেই যায়। অথচ বেশীরভাগ জীবানু পায়েই থাকে এবং খুব সহজে এক শেড হতে অন্য শেডে স্থানান্তর হয়।
বানানোর নিয়ম
শেডের প্রবেশের মুখে একফুট প্রস্থ এবং ৬ ইন্ঞি গভীর করে একটি গর্ত বানাতে হবে ইট দিয়ে এবং ভাল মতন নেট ফিনিশিং করতে হবে। এটা এমন ভাবে বানাতে হবে যেন কোন মতেই পা না ঢুবিয়ে কেউ ভিতরে আসতে পারে। পানি পরিস্কারের জন্য একপাশে পাইপ দিতে হবে।
ব্যবহার বিধি
পানিতে দ্রবনীয় জীবানুনাশক যেমন পটাশিয়াম পারমাঙ্গানেট,ভাইরোসিড,ভিরকন এস, টিমসেন, ব্লিচিং, টিএইচ ফোর, ওমনিসাইড এসব নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিদিন পরিস্কার করতে হবে।
এটা ব্যবহার করা অনেক বেশী জরুরী। মুরগীর খাবার পানি খাওয়ানো যেমন জরুরী তেমনই ফুটবাথ ও জরুরী জীবানুমুক্ত খামার করার জন্য।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৯ডিসেম্বর২০২০