রাজশাহীর বিভিন্ন বাজারে বেশ ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগি। প্রতিকেজি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রায় গরুর মাংসের দামের কাছাকাছি।
রাজশাহীর সাহেববাজার মাষ্টারপাড়া কাঁচাবাজারের পাইকারি মুরগি বিক্রেতা মিঠু বলেন, সব ধরনের মুরগির দামই ভালো। কদিন আগে সোনালী মুরগির দামটা বেশ চড়া ছিল। এখন সব ধরনের মুরগি মোটামুটি দামে বিক্রি করছি।
এই ব্যবসায়ী জানান, ব্রয়লার ১৪০ টাকা কেজি, সোনালী ২৭০ টাকা, লেয়ার সাদা ১৮০ টাকা, লেয়ার লাল ২১০ টাকা এবং দেশী মুরগি ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরেক ব্যবসায়ী মিলন হোসেন বলেন, মুরগির দাম আর বাড়বে বলে মনে হয়না। যা দাম আছে এই দামেই রমজান চলে যাবে। আবার বলাও যায় না, বাজার টান পড়লে দাম বাড়ে। তবে মনে হচ্ছে আর দাম বাড়বে না।
বাজারের ডিম ব্যবসায়ী শামীম হোসেন বলেন, ডিমের দাম রমজানে আরোও কমতে পারে ভেবেছিলাম। ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। কাঁচাবাজারের ঠিক নাই। মাল (ডিম) একটু টান পড়লে দাম বাড়ে আবার ক্রেতা কমে গেলে বা চাহিদা না থাকলে দাম কমে যায়।
তিনি জানান, প্রতিহালি (৪টি) লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকায়। সাদা ডিম ২৭-২৮ টাকা ও হাঁসের ডিম ৪০ টাকা হালি দরে বিক্রি করছেন।
আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল ২০২১) নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
ডিমের দাম কমা ও মুরগির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, খাদ্যের এবং বাচ্চার দাম অত্যন্ত বেশি। বস্তাপ্রতি খাদ্যেও দাম ফের বাড়ানো হয়েছে ৫০-৭৫ টাকা। দাম বাড়ার কারণে মুলত বাচ্চা তুলছেন না খামারিরা। করোনার ভয়ে কয়েকমাস আগে খামারিরা বাচ্চা না তোলার কারণে এখন তৈরি মুরগি বাজারে টান পড়ে। এ কারণেই মূলত দাম বেড়ে ৩০০ টাকা কেজি লাগে। এখন মুরগির বাজার আস্তে আস্তে কমবে। তবে, এখন যে বাজার আছে তাতে আমাদের লাভ হচ্ছে। কমে গেলে লাভ থাকেনা।
রাজশাহী পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন, রাজশাহীতে ৬০ ভাগ খামার ফাঁকা হয়ে গেছে। বার্ড ফ্লু রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক মুরগি মারা গেছে। ভয়ে আর নতুন বাচ্চা তুলছেন না খামারিরা। আগের মতো আবার মুরগির দাম বাড়বে। এখন যা একটু কমেছে তাও থাকবে না।
ডিমের দাম বাড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিমের দামও বাড়বে। অনেক লেয়ার খামারি মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন। খাদ্যের দাম বেড়েছে তিন মাসে ১৫০ থেকে ১৭৫ টাকা। এই দাম বাড়ানো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না। বৈশ্বিকভাবে দাম ১২ টাকা থেকে ১৩ টাকা বাড়লে বাংলাদেশে সিন্ডিকেটে দাম বাড়ায় ৭০-৮০ টাকা। এটা কোন নীতি নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ১৪ এপ্রিল ২০২১