দেশে মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণে বর্তমানে ব্যাপকহারে মুরগি পালন করা হচ্ছে। খামারে মুরগি পালনের সময়ে কিছু বদঅভ্যাস লক্ষ্য করা যায়। মুরগির বদঅভ্যাস রোধে প্রয়োজনীয় কিছু ব্যবস্থাপনা খামারিদের জেনে রাখা দরকার। মুরগির বদঅভ্যাস রোধে প্রয়োজনীয় কিছু ব্যবস্থাপনা:
খামারের তাপের প্রভাব: মুরগির খামারে অতিরিক্ত গরম দেখা দিলে মুরগির মধ্যে বদঅভ্যাস মারাত্মক আকারে লক্ষ্য করা যায়। অতিরিক্ত তাপের ফলে মুরগির বিপাকক্রিয়া ভালো হয় না। যার ফলে মুরগির খাদ্যের প্রতি অনীহা দেখা যায়। গরমে একে অপরের সঙ্গে হিংসাত্মক ভাব প্রদর্শন করে। যার ফলে এক মুরগি অন্য মুরগিকে ঠোকর মারতে থাকে।
খাদ্য ও খাদ্যের পাত্র: মুরগির জন্য সর্বদা পানির সরবরাহ রাখতে হয়। মুরগি তার প্রয়োজন মতো পানি পান করতে থাকে। পানিপাত্রের অভাব হলে মুরগির মধ্যে হিংসাত্মক ভাব প্রকাশ পায়। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পানি ও খাদ্য গ্রহণ করে। আর এসব অবস্থার জন্য মুরগির মধ্যে ক্যানাবলিজমের প্রভাব বেড়ে যায়।
মুরগির ঘনত্ব: মুরগিকে তার প্রয়োজন মতো জায়গা দিতে হয়। সেক্ষত্রে যদি তার জায়গার ঘাটতি হয় সেক্ষেত্রে এ বদঅভ্যাস শুরু হয়ে যেতে পারে। এজন্য খামারে বাচ্চার জন্য নির্ধারিত জায়গা রাখা জরুরী।
আলোর তীব্রতা: প্রয়োজনীয় আলো মুরগির জন্য খুবই জরুরী। এর চেয়ে মাত্রা বেশি হলে তা ক্ষতিতে রূপ নিতে থাকে। এজন্য খামারের প্রয়োজন অনুযায়ী আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।
চিকিৎসার অভাব: মুরগি কোনো জীবাণু বা কোনোভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হলে চিকিৎসার প্রয়োজন। অন্তত তাকে আলাদাকরণ খুব প্রয়োজন। আর এ চিকিৎসার যদি কোনো ঘাটতি হয় এবং যদি দেরি হয় তাহলে অন্য মুরগি সেই আক্রান্ত মুরগিকে নতুন করে ঠোকরানো শুরু করে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ০২ আগস্ট ২০২১