এই রোগে সাধারণত ব্রুডিং পর্বের বাচ্চা আক্রান্ত হয়৷ তাই এই রোগকে ব্রুডার নিউমোনিয়া বলা হয়৷
রোগের কারণঃ
বাচ্চা মুরগিতে ব্রুডার নিউমোনিয়া সৃষ্টিকারী “অ্যাসপারজিলাস ফিউমিগেটাস” নামক ছত্রাকের স্পোর এই রোগের কারন৷ সাধারণত কাঠের গুড়া লিটার হিসেবে ব্যবহার করা হলে এটি হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে।
রোগের বিস্তারঃ
স্পোর দিয়ে দূষিত খাদ্য বা লিটার সামগ্রীর সংস্পর্শে অথবা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে স্পোর গ্রহণে মুরগীর বাচ্চা এই রোগে আক্রান্ত হয়।
ব্রুডিং নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণঃ
১। এই রোগে আক্রান্ত হলে বাচ্চা দিন দিন শুকিয়ে যায় ও দুর্বল হয়ে পড়ে৷
২। আক্রান্ত বাচ্চার চোখের পাতা ফুলে যায়৷ বয়স্ক বাচ্চার কর্ণিয়াতে আলসার বা ঘা দেখা দিতে পারে৷
৩। শ্বাসকষ্টের কারনে বাচ্চা মুখ হা করে ঘাড় ও মাথা উপরের দিকে টান করে শ্বাস গ্রহণ করে৷
৪। অতি তীব্র প্রকৃতির রোগের ক্ষেত্রে অনেক সময় কোনো বৈশিষ্টপূর্ণ উপসর্গ ছাড়াই বাচ্চা মারা যেতে পারে৷
৫। তীব্র প্রকৃতির রোগে ক্ষুধামন্দা, পিপাসা বৃদ্ধি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়৷
৬। শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় ঘড়ঘড় শব্দ হয় ও ফুসফুসে হলুদ নডিউল তৈরি হয়।
রোগ প্রতিরোধঃ
১। ব্রুডারে কাঠের গুড়ার ব্যবহার যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে।
২। লিটার হিসেবে অবশ্যই ধানের তুষ ব্যবহার করতে হবে।
৩। লিটারে তুতে দিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে।
৪। শুকনা ছত্রাকমুক্ত পোল্ট্রি খাদ্য ব্যবহার করতে হবে।
৫। স্যাঁতসাতে বা বেশী শুকনা লিটার ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
৬। এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ডা মোঃ শাহীন মিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিসিএস প্রাণিসম্পদ
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২