মোরগ-মুরগির সংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে রাণীক্ষেত রোগ বা নিউক্যাসেল ডিজিজ (Newcastle Disease) একটি মারাত্মক ভাইরাস জনিত সংক্রামক ব্যাধি। এ রোগের জীবাণু আক্রান্ত বাচ্চা মোরগ-মুরগির শ্বাসতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত করে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণ প্রকাশ করে। পরিপাকতন্ত্র আক্রান্ত্রের ফলে মোরগ-মুরগি সাদা চুনের ন্যায় অথবা সবুজ বর্ণের পাতলা মল ত্যাগ করে। এ রোগের সুপ্তিকাল ৩ থেকে ৬ দিন।
মাষ্টার সীডঃ লেন্টোজেনিক এফ (F) ষ্ট্রেইন।
অরিজিনঃ Food and Agricultural Organization (FAO)
ব্যবহার বিধিঃ
প্রতি ভায়ালে ০.৬ এম এল টিকা হিমশুস্ক অবস্থায় থাকে। এ টিকা প্রদানের জন্য ৬ এম এল পরিস্রুত পানি, জীবাণুমুক্ত পরিস্কার মিশ্রণ পাত্র, সিরিঞ্জ নিডিল ও আইড্রপার প্রয়োজন হয়। সিরিঞ্জের সাহায্যে ৬ এম এল পরিস্রুত পানির কিছুটা অংশ নিয়ে টিকা ভায়ালে প্রবেশ করাতে হবে। টিকা গলানোর জন্য ভায়াল ধীরে ধীরে নাড়তে হবে এবং পুরো মিশ্রণটি সিরিঞ্জে টেনে নিতে হবে। এরপর পরিস্কার জীবাণুমুক্ত আই ড্রপারের সাহায্যে মিশ্রিত টিকা নিয়ে মুরগির বাচ্চার চোখে দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে বাচ্চা ঢোক গিললে বুঝা যাবে টিকা প্রদান সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতি চোখে ১ ফোটা করে টিকা দিতে হবে। প্রতি ভায়ালে ১০০ মাত্রা টিকা থাকে।
সাধারণতঃ ৪ হতে ৭ দিন বয়সের মুরগির বাচ্চার চোখে প্রথম এ টিকা প্রয়োগ করা উত্তম। কারণ, এ ক্ষেত্রে মাতৃ এন্টিবডি দ্বারা টিকার ভাইরাস নিউট্রালাইজ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। প্রথম টিকা প্রয়োগের ২১ দিন পর এই টিকা পুনরায় প্রয়োগ করতে হয়।
এই টিকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ স্থায়ী হয়। এ সময়কালের পরে বড় মুরগির রাণীক্ষেত টিকা(RDV) প্রয়োগ করতে হয়।
সূত্র ঃ এলডি
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৬নভেম্বর২০২০