চলমান বাজারে বেড়েছে হাস-মুরগি ও মাছের খাদ্যের দাম। এমতাবস্থায় মাছ-মুরগির উৎপাদন ব্যয় বাড়ায় লাভ করতে পারছেন না প্রান্তিক খামারিরা। তবে ফিডের ব্যবহার কমিয়ে অর্ধেক খরচে মাছ-মুরগির বিকল্প খাদ্য হিসেবে ব্ল্যাক সোলজার ব্যবহারে লাভবান হচ্ছেন বগুড়া জেলার মাছ ও পোল্ট্রি খামারিরা। ফিডের বর্তমান বাজারমূল্যের চেয়ে অর্ধেক দামে পাওয়া যাচ্ছে অত্যাধিক প্রোটিন সমৃদ্ধ ব্ল্যাক সোলজার। এতে করে মাছ ও মুরগি উৎপাদনে খরচ কমেছে বলে জানিয়েছেন একাধিক খামারি।
উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের তালতা গ্রামের খামারী মেহেদি হাসান বাবলু জানান, ফিডের তুলনায় অর্ধেক দামে ব্ল্যাক সোলজার পাওয়া যায় এতে করে মুরগি উৎপাদনে খরচ কম হচ্ছে। বর্তমানে মুরগির দাম না বাড়লেও খাদ্যের দাম বাড়ায় তাকে লোকসান গুণতে হচ্ছে। তাই লোকসান কমাতে ফিডের বিকল্প হিসেবে ব্ল্যাক সোলজারের ব্যবহার শুরু করেছেন। এতে করে তিনি ব্যাপক লাভবান হয়েছেন।
মৎসচাষী আলমগীর হোসেন জানান, খাদ্যের দাম একাধিক হারে বৃদ্ধির ফলে মাছ চাষে তেমন কোন লাভ থাকতো না। কিন্তু পুকুরে ফিডের পাশাপাশী এই ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাইয়ের লার্ভা মাছের খাদ্য হিসেবে খাওয়ানেরা ফলে তার খরচ কমেছে অর্ধেক।
ব্লাক সোলজার ফ্লাই উৎপাদন সম্পর্কে মেহেদী হাসান বলেন, মশারির এক প্রকার জালের ভেতরে মাছিগুলো থেকে একটি বিশেষ পদ্ধতিতে ডিম সংগ্রহ করতে হয়। ডিম সংগ্রহ করে তা ২ থেকে তিন দিনের মধ্যে হ্যাচিং করতে হয়। তারপর ডিম থেকে লার্ভা জন্ম নেয়ার পর ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে তা পরিপূর্ণ হলে মাছ, মুরগির খাবারের উপযোগী হয়। ব্লাক সোলজার ফ্লাই পচনশীল যেকোন শাক, সবজি খায় তাই উৎপাদন খরচ খুবই কম।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো. রায়হান পিএএ জানান, ব্লাক সোলজার ফ্লাই মূলত এক ধরনের মাছি, এই মাছির লার্ভা মুরগির খাদ্যের অতিরিক্ত প্রোটিন যোগাচ্ছে। ব্লাক সোলজার ফ্লাইয়ের লার্ভা খাওয়ানোর জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশনা দেয়া নাই। লার্ভায় প্রচুর পরিমানে প্রোটিন থাকায় খামারিদের খাদ্যের খরচ অনেক কমেছে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৮আগস্ট ২০২২