মুরগির যেসব রোগ হয়

245

মুরগির রোগ

রানিক্ষেত

মুরগির প্যারামিক্রো ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এই রানিক্ষেত রোগ মুরগির খামারের সর্বাধিক ক্ষতি কর রোগ গুলার মধ্য অন্যতম ।সমস্ত বয়সের মুরগি এই রোগে আক্রান্ত হয়। আমদের দেশে শীত ও বসন্ত কালে এই রোগের লক্ষণ বেশি দেখা যায়।

এভিয়ান ফ্লু ভাইরাস বা বার্ড ফ্লু

এভিয়ান ইনফ্লু ভাইরাস জনিত রোগ। এটি একটি ছোয়াচে রোগ। এই রোগ গুলিতে মৃত্যুর হার অনেক বেশি তাই এই রোগকে মুরগির প্লেগ রোগ বলা হয়। আনেক জায়গায় এই রোগকে বার্ডফ্লু বলে থাকে। সকল বয়সের মুরগি এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগ মানুষকেও আক্রান্ত করতে পারে।

পুলোরাম রোগ

পুলোরাম রোগ একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। সালমোনেলা পুলোরাম নামক একটি ব্যাকটেরিয়া এই রোগের জন্য দায়ি। ৩ সপ্তাহ এর কম বয়সি মোরগ মুরগি তে এই রোগ বেশি হয়ে থাকে। এই রোগে মুরগির মৃত্যুর হার ১০০% হয়ে থাকে।

ফাউল কলেরা

ফাউল কলেরা এই রোগ টি একটি খুব পরিচিত রোগ। পাস্তরেলা মাল্টাসিভা নামক ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। এই ব্যাকটেরিয়াটি ফাউল কলেরা রোগের জন্য দায়ী। বয়সক মোরগ ও মুরগি দের এই রোগ বেশি দেখা যায় । আত্যাধিক গরমে এই রোগ বেশি দেখা যায়। এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি।

ইনফেকশাস কোরাইজা

হিওফিলাস প্যারাগ্যালিনেরাম নামক একটি ব্যাকটেরিয়া এই রোগের জন্য দায়ি। মুরগি ঘরে সঠিক ভাবে বাতাস না চলাচলা করলে, লিটার বেশি পুরাতন হলে ইত্যাদির জন্য এনেমানিয়া গ্যাস জমা হলে এই রোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে। একে আবার অনেকে ঠান্ডা রোগ ও বলে।

আরও পড়ুন- মুরগির যেসব কারণে গামবোরো রোগ হয় ও চিকিৎসা

ওম্ফ্যালাইটিস

ওম্ফ্যালাইটিস একটি জীবণু রোগ তবে এটি সংক্রামক রোগ নয়। ব্যাবস্থাপনার ত্রুটির কারনে এই রোগ হয়ে থাকে। লিটারে আদ্রতা বৃদ্ধি পেলে, তাপমাত্রা ও আদ্রতা খুব বেশি বা কম হলে এবং পরিবহন জনিত সমস্যার কারনে এই রোগ হয় থাকে। মৃত্যুর হার ১৫% পর্যন্ত হয়ে থাকে।

নেক্রোটিক এন্টারাইটিস

ক্লোষ্ট্রডিয়াম পারফ্রিনজেন্স নামক একটি ব্যাকটেরিয়া এই নেক্রোটিক এন্টারাইটিস রোগের কারণ। ২ থেকে ১২ সপ্তাহ বয়সের মুরগিদের এই রোগ বেশি হয়ে তাকে। পুরাতন লিটার ব্যবহার করলে এই রোগ হয়ে থাকে। রোগ টি হলে ডানা ঝুলে পড়ে , ঠোট দিয়ে লালা পড়ে ইত্যাদি অন্যতম লক্ষণ।

কলিব্যাসিলোসিস

ই-কলাই নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্টি রোগ কে কলিব্যাসিলোসিস রোগ বলে। এই জীবানুটি বিভিন্ন রকম রোগ সৃষ্টি করে থাকে। যেমন, শরির দুর্বল করে তলে, ঝিমাই, শরীরে তাপ বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি হল এর লক্ষণ।

এভিয়ান মাইকোপ্লাজমোসিস

এভিয়ান মাইকোপ্লাজমোসিস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর শ্বাস তন্ত্রের অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের জটিলতায় হয় তাহলে তখন একে সিআরডি রোগ বলে । এর উপসর্গ হল শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে। এই রোগে মুরগির ওজন ও ডিম কমে যায় ।

আরও পড়ুন মুরগির কোন রোগের জন্য কোন টিকা দিবেন

ব্রুডার নিউমোনিয়া

এসপারজিলাস ফিউমিগ্যাটাস নামে এক ধরনের ছাত্রাক এর কারণে এ রোগের উৎপত্তি। এই ছাত্রক শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে এই রোগ ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং ধিরে ধিরে বাচ্চা গুলো মারা যায়। প্রচুর পানি খাই, শরির গরম হয়ে যায়।

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ০৮ নভেম্বর, ২০২২