মুরগির লিটার ব্যবস্থাপনায় যেসব কাজ করতে হবে তা আমাদের দেশের অনেক খামারিরাই জানেন না। আমাদের দেশে ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ করতে ব্যাপকহারে মুরগির খামার গড়ে উঠেছে। খামারে মুরগি পালনের ক্ষেত্রে লিটার ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আজকের লেখায় আমরা জানবো মুরগির লিটার ব্যবস্থাপনায় যেসব কাজ করতে হবে সে সম্পর্কে-
মুরগির লিটার ব্যবস্থাপনায় যেসব কাজ করতে হবেঃ
খামারে মুরগি পালনে লিটার ব্যবস্থাপনায় যে কাজগুলো করতে হবে সেগুলো নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-
লিটারে হিসেবে যা ব্যবহার করতে হবেঃ
১। ধানের চিটা
২। বালি
৩। ধানের তুষ
৪। খড়
৫। কাঠের পাতলা টুকরা (Wood Shavings)
৬। কাঠের গুড়া
লিটারের পরিমাণঃ
শীতকাল এবং গরম কালে লিটারের পুরুত্ব কম বেশী হবে। গরমে কম পুরুত্বের লিটার যেমন ১-২ ইঞ্চি আর শীতকালে তা ২-৩ ইঞ্চি পুরু হতে হবে।
মুরগির লিটার ব্যবস্থাপনায় যা করতে হবেঃ
১। প্রথম ১০ দিন অবশ্যই ধানের তুষ, চিটা বালি বা খড় ব্যবহার করতে হবে। প্রথম দিকে কোন ভাবেই কাঠের গুড়া দেয়া যাবে না।
২। মুরগি আসার দুইদিন আগে লিটার বিছিয়ে নিতে হবে এবং কোন ধারালো বস্তু আছে কিনা ভালোভাবে দেখতে হবে। যদি থাকে তাহলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে।
৩। খামারে বাচ্চা আসার আগের দিন লিটার জীবানুনাশক দিয়ে ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে লিটার যেন আবার খুব বেশি ভিজে না যায়। জীবানুনাশকের সাথে তুতে দেয়া যেতে পারে।
৪। লিটার প্রথম দিন থেকে দিনে দুইবার নেড়ে দিতে হবে।
৫। পানির পাত্র থেকে পানি পড়ে লিটার ভিজে না যায় মত লক্ষ রাখুন। লিটার কখনোই বেশী ভিজা বা একদম শুকনা হবে না। বেশী শুকনা হলে বাতাসে উড়ে মুরগীর নাকে মুখে ঢুকবে।
৬। মুরগির লিটার খুব বেশি ভিজে গেলে সেটা পরিবর্তন করে দিতে হবে তবে কখনোই সম্পূর্ন পরিবর্তন করা যাবে না। ১/৩ ভাগ পুরাতন লিটারের সাথে নতুন লিটার মিশিয়ে দিতে হবে।
৮। মুরগির খামারে ব্যবহার হওয়া পুরাতন লিটার পরবর্তী ব্যাচে ব্যবহার করা যাবে না। এতে খামারে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৭। মুরগির খামারে ব্যবহার হওয়া লিটার চাকা চাকা হয়ে গেলে চেলে দিতে হবে এবং চাকা হয়ে যাওয়া লিটারগুলো ফেলে দিতে হবে।
৮। মুরগি বিক্রি করার পর যত দ্রুত সম্ভব লিটার সরিয়ে ফেলতে হবে। আর সম্ভব হলে মাটিতে পুতে ফেলতে হবে।